প্রধানমন্ত্রী শুধু স্বপ্ন দেখান না, বাস্তবায়নও করেন : খালিদ
জিয়াউর রহমান-এরশাদ-খালেদা জিয়া ২১ বছর দেশকে উল্টোপথে চালিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, উন্নয়নে তাঁদের কোনো স্বপ্ন ছিল না। গত ১২ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে সঠিকপথে পরিচালিত করেছেন।
আজ শুক্রবার চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে ‘দ্বীপবন্ধু মুস্তাফিজুর রহমান জেটি’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃতে দেশ আজ উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী দিন বদলের সনদ ঘোষণা করেছিলেন। বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ মনে করে দিন বদলে হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শুধু স্বপ্ন দেখান না তিনি স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেন। তাঁর নেতৃত্বে আমাদের টাকায় পদ্মা সেতু হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলছে। প্রধানমন্ত্রীর কর্মকাণ্ড শুধু দেশে নয়; সমগ্র বিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছে। উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের ‘রোল মডেল’। প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন আর পজেটিভ চিন্তাগুলো আগামী আট বছরে শুধু রোল মডেল নয়, বাংলাদেশ হবে একটি উন্নত মানবিক বাংলাদেশ।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, সন্দ্বীপে বিশেষ অর্থনৈতিক জোন বাস্তবায়ন হলে এখানে বিদেশি বিনিয়োগ হবে। এই এলাকার খালখনন ও ইকোপার্ক নির্মাণসহ যেসব দাবি স্থানীয় জনগণ করছে, তা বাস্তবায়ন হয়ে যাবে। এখানে ইকোপার্ক হলে বিভিন্ন জায়গা থেকে পর্যটকরাও আসবে।
জেটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান বলেন, এইখানে ডুবে আমার দাদা মারা গেছেন। আমার ফুফু মারা গেছেন। আমি নিজেও এইখানে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছি।
সন্দ্বীপের বাসিন্দা কানু মিয়া বলেন, আগের জেটি ভেঙে গেছে। ওখান দিয়ে হাঁটাহাঁটিও করা যায় না। অর্ধেক গিয়ে আবার এই কাঁদার মধ্যে হাঁটতে হয়।
সন্দ্বীপের পৌর এলাকার বাসিন্দা মোসলেম বলেন, জেটি না থাকায় ভালো লঞ্চ নেই। আর ট্রলার ডুবে প্রতি বছর মানুষ মরে। ভাটা আর শুকনো মৌসুমে অসুস্থ রোগী, নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের সমস্যায় পড়তে হতো। কাঁদাপানি মাড়িয়ে নৌযানে উঠতে হত। নতুন এই জেটি নির্মাণে আমাদের কষ্ট লাঘব হলো।
সন্দ্বীপবাসীর যাতায়াত এবং তাদের মালামাল ওঠানামার সুবিধার্থে সন্দ্বীপ ল্যান্ডিং স্টেশনে ৭০০ মিটার দৈর্ঘ্যের পাকা কংক্রিটের (আরসিসি) জেটি নির্মাণ করা হয়েছে। জেটির পাশাপাশি পার্কিং ইয়ার্ড, যাত্রীছাউনী, লাইটিং সিস্টেম, রেলিং, বাউন্ডারি ওয়ালসহ আনুষঙ্গিক সুবিধাদি নির্মাণ করা হয়েছে।
নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এ কাজগুলো সম্পন্ন করেছে। এজন্য ব্যয় হয়েছে প্রায় ৫১ কোটি টাকা। ৭০০ মিটার দৈর্ঘ্যের ল্যান্ডিং স্টেশন নির্মাণে ৫২ কেটি ৬৪ টাকা প্রাক্কলন ব্যয় ধরা হলেও এতে মোট ব্যয় হয়েছে ৫০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। ফলে সরকারের এক কোটি ৮০ লাখ টাকা সাশ্রয় হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিতা, সন্দ্বীপ উপজেলা চেয়ারম্যান শাজাহান মাস্টার, ভাইস চেয়ারম্যান মাইনুদ্দিন মিশন, পৌর মেয়র মোক্তাদের মাওলা সেলিম প্রমুখ।