প্রধান শিক্ষিকাকে বিয়ে ও নির্যাতনের অভিযোগ শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে
খাগড়াছড়িতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকাকে বিয়ে করে সামাজিক স্বীকৃতি না দেওয়া এবং নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসে এই নির্যাতন করার ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষিকা মৌসুমি ত্রিপুরা জেলা সদরের মহালছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। বর্তমানে তিনি খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মৌসুমী ত্রিপুরা জানান, কর্তৃপক্ষকে বিদ্যালয়ের প্রধান গেট ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার বিষয়টি লিখিতভাবে জানাতে তিনি আজ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা শিক্ষা অফিসে যান। এ সময় সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সুভায়ন খীসার কাছে আবেদনটি দিতে চাইলে তিনি নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে অন্যজনকে দিতে বলেন। কাজ শেষ করে ফেরার আগে কেন এমন আচরণ করলেন জানতে চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে মারধর শুরু করেন।
মৌসুমী ত্রিপুরা আরও বলেন, গত বছরের সেপ্টেম্বরে সুভায়ন খীসা তাকে বিয়ে করলেও এখনও সামাজিকভাবে স্বীকৃতি দেননি।
খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মিথিলা বড়ুয়া জানান, ভুক্তভোগীর মাথা ও মুখমণ্ডলে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাঁকে সদর হাসপাতালে ভর্তি দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সুভায়ন খীসা বলেন, ‘অফিসে এসে গায়ে হাত দেওয়ায় তাকে সরাতে গেলে সে পড়ে যায়। তারপর অন্য সহকর্মীরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।’
খাগড়াছড়ির জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফাতেমা মেহের ইয়াসমিন বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।’