প্রবাসী ভোটার করতে ১৮ মে দুবাই যাবে ইসির কারিগরি দল
প্রবাসীদের ভোটার করতে শিগগিরই দুবাই যাচ্ছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকর্তারা। অগ্রবর্তী দল হিসেবে আগামী বৃহস্পতিবার (১৮ মে) দুবাই যাবে ইসির কারিগরি দল। এর পর ২৬ মে প্রশাসনিক দলের সদস্যরা যাবেন।
আজ মঙ্গলবার (১৬ মে) ইসির জাতীয় নিবন্ধন ও প্রবাসী অধিশাখার পরিচালক মো. আব্দুল মমিন সরকার এ তথ্য জানিয়েছেন।
মো. আব্দুল মমিন সরকার বলেন, “কমিশনের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা দুবাইয়ে যন্ত্রপাতি স্থাপন, তথ্য সংগ্রহ এবং দায়িত্ব পালনকারীদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেবেন। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনায় নিয়ে প্রবাসে নিবন্ধনের পর আবেদনগুলো দেশে আবার যাচাই-বাছাই করা হবে। এরপরই স্মার্টকার্ড দেওয়া হবে।”
আমিরাতে এ কার্যক্রমের অভিজ্ঞতা নিয়ে পর্যায়ক্রমে রেমিট্যান্স প্রবাহের আধিক্য বিবেচনায় বাংলাদেশি শ্রমিক অধ্যুষিত দেশগুলোতেও এ কার্যক্রম চালানো হবে বলে জানান মো. আব্দুল মমিন সরকার।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার করতে এর আগে কয়েক দফা উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু, তেমন অগ্রগতি হয়নি। বর্তমান নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর ফের উদ্যোগটি নেওয়া হয়। এ কার্যক্রমের জন্য ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। এই উদ্যোগের প্রথম ধাপে আরব আমিরাত যাচ্ছে ইসির একটি দল।
জানা গেছে, নির্বাচন কমিশন এই উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র, প্রবাসী কল্যাণ, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, পাসপোর্ট অধিদপ্তর এবং জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠনের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে। প্রবাসীদের ভোটার করতে দূতাবাসের সহযোগিতায় ইসির কর্মকর্তারা তথ্য সংগ্রহ করে বাংলাদেশে যাচাই-বাছাই করবেন। এরপরই প্রবাসীদের ভোটার করা হবে। দেওয়া হবে স্মার্ট কার্ডও। দুবাইয়ে এই উদ্যোগ সফলভাবে বাস্তবায়ন করা গেলে পর্যায়ক্রমে অন্য দেশেও চালু করা হবে। এ ক্ষেত্রে রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের প্রাধান্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্য, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরকে বেছে নেওয়া হতে পারে।
মো. আব্দুল মমিন সরকার আরও বলেন, “ছয় দেশ থেকে সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটার নিবন্ধনের আবেদন করেছেন। তার মধ্যে মালয়েশিয়ায় প্রায় ৪০০, সৌদি আরবে এক হাজার ৩০০, সিঙ্গাপুরে ২৬৬, সংযুক্ত আরব আমিরাতে এক হাজার ৪০, যুক্তরাজ্যের ৭৭৪ ও মালদ্বীপের ৩৬ জনের আবেদন রয়েছে।’
উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালে দেশের উচ্চ আদালত প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার সংবিধান স্বীকৃত বলে ঘোষণা দেয়। কিন্তু, দীর্ঘ ২২ বছরেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। বিশ্বের ১৫৭টি দেশে প্রায় কোটির ওপরে প্রবাসী বাংলাদেশি রয়েছেন।