প্রমাণ করুন আল জাজিরার প্রতিবেদন মিথ্যা : মির্জা আব্বাস
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরায় বাংলাদেশ নিয়ে যে তথ্যচিত্র প্রচার হয়েছে, তা মিথ্যা প্রমাণ করতে সরকারের প্রতি চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মেয়র মির্জা আব্বাস। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আজ সোমবার বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারাবন্দির তৃতীয় বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় এ চ্যালেঞ্জ জানান তিনি।
এ সময় মির্জা আব্বাস বলেন, ‘এই সরকারকে বলতে চাই, আপনারা প্রমাণ করুন আল জাজিরায় যা কিছু আছে, সব মিথ্যা। আমরা আপনাদের সমর্থন দেব।’
বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, ‘আজকের এই দিনে অন্যায়ভাবে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি করা হয়েছিল। তাঁকে দুই কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা দেওয়া হয়েছে। আত্মসাৎ করার ঘটনা প্রমাণ করতে পারেনি।’
খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের কাছে ক্ষমা চেয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমরা এতই দুর্ভাগা, এতই ব্যর্থ যে, তাদের মুক্ত করার কোনো ব্যবস্থা করতে পারিনি। তাই বলে সারা জীবন খালেদা জিয়া কারাবন্দি থাকবেন, এটা সত্যি নয়। আজকের এই সমাবেশ প্রমাণ করেছে আমাদের বন্ধন ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাবে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ইনশা আল্লাহ দেশে ফিরে আসবেন।’
সাবেক এই মেয়র বলেন, ‘যখন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া কারাবন্দি ছিলেন, তখন আমরাও কারাবন্দি ছিলাম। তখন আমরা অনেকেই জেলে ছিলাম। সে সময় তারেক রহমানও জেলে ছিলেন। সুস্থ তারেক রহমানকে জেলে নিয়ে যাওয়া হলো, অসুস্থ তারেক রহমান ফেরত এলেন।’
কারাবন্দি থাকা অবস্থার কথা স্মরণ করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘সে সময় (তত্ত্বাবধায়ক সরকার) আমার সঙ্গে কারাগারে এক রুমে ছিলেন আমান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। বন্দি অবস্থায় আমাদের সঙ্গে আরো ছিলেন ওবায়দুল কাদের, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ, শেখ সেলিমের মতো আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতা। সবাই বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার ছিলেন। ওবায়দুল কাদের সাহেব এখন লম্বা লম্বা কথা বলেন।’
মির্জা আব্বাস আরো বলেন, ‘এখন দেখা যাচ্ছে, সেই মামলাগুলোর মধ্যে আওয়ামী লীগের যারা ছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলাও নাই। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ সবার মামলা চলমান আছে। এত বড় অন্যায় অপরাধ করে যাচ্ছে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে বন্দি রেখে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি, দেশ স্বাধীন করেছি এই কথা শোনার জন্য নয় যে, বাংলাদেশ মাফিয়া দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে, বাংলাদেশ একটি মাফিয়া রাষ্ট্র। এই কথা আমরা আর কখনো শুনতে চাই না।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপির তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দীন টুকু, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মোরতাজুল করিম বাদরু, বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল, কৃষক দলের সদস্য সচিব কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ।