প্রাইভেটকারে গরু চুরি করে পালাতে গিয়ে ধরা, গণধোলাইয়ে আহত ৩
প্রাইভেটকারে গরু নিয়ে পালানোর সময় ৩ চোরকে গণধোলাই দিয়েছে স্থানীয় জনতা। পরে পুলিশ ঐ গরু চোরদের জনতার কবল থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতাল পাঠায়।
দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় আজ শনিবার (১ এপ্রিল) দুপুরে কেরানিহাট বান্দরবান সড়কের অলি আহমদ বীরবিক্রম কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
সাতকানিয়া থানার এসআই সিদ্দিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, চুরির অভিযোগে জনতার মারধরে আহতরা হলো আনোয়ারা পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের মোহাম্মদ আরমান (৪০) ও ফয়সাল (৩৩)। অন্যজনের নাম জানা যায়নি।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, দুপুর আনুমানিক সাড়ে এগারোটার দিকে বান্দরবানের গোয়ালিয়া খোলা এলাকা থেকে প্রাইভেটকারে করে গরু নিয়ে পালাচ্ছিল চোরের দল। বিষয়টি গরুর মালিক ও স্থানীয় লোকজন বুঝতে পেরে পিছন থেকে ধাওয়া করে কেরানিহাট বান্দরবান সড়কের অলি আহমদ বীরবিক্রম কলেজের সামনে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় প্রাইভেটকারটি থামিয়ে গরুসহ তিন চোরকে আটক করে। এ সময় তিন ব্যক্তিকে আটক করে স্থানীয়রা গণপিটুনি দেয় এবং প্রাইভেটকারটি ভাঙচুর করে।
বাজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান তাপস কান্তি দত্ত বলেন, বান্দরবন থেকে গরু চুরি করে প্রাইভেটকারে তুলে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন প্রাইভেটকারটি আটক করে তিন চোরকে গণপিটুনি দিয়েছে।
সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তার আফরিন সুলতানা জানান, শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে গণধোলাইয়ের শিকার গুরুতর আহত অবস্থায় তিনজনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠিয়েছি।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইয়াসির আরাফাত বলেন, বান্দরবান থেকে গরু চুরি করে পালানোর সময় বাজালিয়া এলাকায় স্থানীয় লোকজন তিন গরু চোরকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। ভাঙচুর করা প্রাইভেটকার ও গরু পুলিশ হেফাজতে আছে। গণপিটুনিতে গুরুতর আহত তিন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে পুলিশ প্রহরায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির জন্য পাঠানো হয়েছে।