প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কষ্ট দূর করা এবারের লক্ষ্য: অর্থমন্ত্রী
প্রস্তাবিত বাজেটকে ‘গরিব মারার বাজেট নয়, বরং দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে রক্ষার বাজেট’ হিসেবে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, গরিব হয়ে জম্মানো অনেক কষ্টের, এটা আমি সবচেয়ে বেশি বুঝি। ফলে, দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে এবারের বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
দ্রব্যমূল্য নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বিরাজমান পরিস্থিতিতে সারা বিশ্বে জিনিসপত্রের দাম ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। আমাদের এখানেও বেড়েছে। তবে, আমরা সমন্বিতভাবে উদ্যোগ নিয়েছি। শিগগির বাজারদর নিয়ন্ত্রণে আসবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘পাচার হওয়া টাকাগুলো এ দেশের মানুষেরই হক। এসব টাকা ফেরত আনার জন্য কর পরিশোধের মাধ্যমে পাচারকারীদের আমরা প্রাস্তাবিত বাজেটে সুযোগ দিয়েছি। এতে টাকা ফিরিয়ে এনে দেশে বিনিয়োগ করলে কারও সম্মান নষ্ট হবে না।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনার সুযোগ দেওয়ায় কেউ কেউ প্রশ্ন তুলছেন। আমরা বলব, আপনারা বাধা দেবেন না। আমরা আশা করছি, সরকারের দেওয়া এ সুযোগ পাচারকারীরা নেবেন।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমেরিকা, কানাডা, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, নরওয়ে, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশীয়াসহ বহুদেশ একই সুযোগ দিয়েছে।’
ইন্দোনেশিয়া থেকে পাচার হওয়া অনেক টাকা ফেরত এসেছে বলেও জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত আছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, মৎস্য ও প্রাণীসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার, নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, এনবিআরের চেয়ারম্যান, অর্থ সচিব, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবগণ।