প্রার্থনায় ও স্মরণে প্রয়াত জাফরুল্লাহ চৌধুরী
‘দেশের যোদ্ধা বন্ধু সবার’ স্লোগানকে সামনে রেখে বীর মুক্তিযোদ্ধা সদ্য প্রয়াত ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্মরণসভা ও প্রার্থনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) বিকেল রাজধানীর ধানমণ্ডিতে তার নিজ বাসভবনে এই স্মরণসভা ও প্রার্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. ফেরদৌস আজিমের সঞ্চালনায় স্মরণসভায় অংশ নিয়ে তার স্মৃতিচারণ করেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডা. কাশেম চৌধুরী, প্রয়াত জাফর উল্লাহর বোন সেলিনা চৌধুরী মিলি, উবিনিকের নারীনেত্রী ফরিদা আক্তার, অর্থনীতিবিদ বিনয়ক সেন, গণস্বাস্থ্যের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাইদুজ্জামান অপু।
আরও উপস্থিত ছিলেন নোবেল বিজয়ী ড. মোহম্মদ ইউনুস, গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন, এমিরেটস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালাহ উদ্দিন আহমেদ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর, অধ্যাপক মাহবুবুল্লাহ, অধ্যাপক অহিদউদ্দিন মাহমুদ, গণস্বাস্থ্য ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন অধ্যাপক আলতাফুন্নেসা, ট্রাস্টি সন্ধা রায়।
আরও উপস্থিত ছিলেন চ্যানেল আইয়ের শাইখ সিরাজ, নিউ এইজ পত্রিকার প্রকাশক শহিদুল্লাহ খান বাদল, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ, নারী নেত্রী খুশি কবির, সাবেক রাষ্ট্রদূত নাজিম উল্লাহ, কর্নেল (অব.) নাসির চৌধুরী, স্ত্রী শিরিন হক, মেয়ে বৃষ্টি চৌধুরী, ছেলে বারিশ হাসান চৌধুরী, কবি ফরহাদ মাজহার, গণ সংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ভাসানী অনুসারী পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল হক, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মিডিয়া উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, গণ-অধিকার পরিষদের রাশেদ খান প্রমুখ।
স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বক্তারা তার বর্ণাঢ্য জীবনের নানা জানা-অজানা স্মৃতির কথা তুলে ধরেন। জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্ত্রী শিরিন হক বলেন, ‘তাঁর সঙ্গে থাকা সহজ ছিল না। আমরা তর্ক করতাম। আবার একসঙ্গে নাটক দেখতে যেতাম। জাফরুল্লাহ চৌধুরী নাটক দেখতে খুব ভালবাসতেন। নাচ-গান খুব একটা ভালবাসতেন না। একবার তাকে নিয়ে নাচ দেখতে গিয়েছিলাম, উনি আমাকে সন্তুষ্ট করতে গিয়েছিলেন। আমার পাশের আসনে বসে ঘুমিয়ে নাক ডাকছিলেন।’
এই নারী বলেন, ‘তিনি (জাফরুল্লাহ) কাজ পাগল ছিলেন। তাই এত আনন্দ আমরা করতে পারিনি। সন্তানদের সময় দিতে পারতেন না। কিন্তু, তিনি সবাইকে খুব ভালবাসতেন।’