প্রার্থীর দল-মত বিবেচ্য নয়, ভোট সুষ্ঠু হবে : সিইসি
সুষ্ঠু ভোটের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, ‘নির্বাচনে প্রার্থীর একমাত্র পরিচয় হচ্ছে তিনি প্রার্থী। তিনি কোন দলের, মতের, ধর্মের বা বর্ণের তা একেবারেই বিবেচ্য বিষয় নয়।’
সিইসি বলেন, ‘প্রার্থীর নির্বাচন সম্পন্ন করতে আইনগত তাঁর যে অধিকার তা রক্ষা করতে আমরা সবসময়ে পাশে থাকব। কেউ যদি আচরণবিধি লঙ্ঘন করেন নির্বাচনি এলাকায় বিপুল সংখ্যক ম্যাজিস্ট্রেট, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থাকবেন তারা তা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন। সম্পূর্ণ পক্ষপাতহীন দৃষ্টিভঙ্গিতে এই কাজ বিগত দিনেও তাঁরা করেছেন। এবারও তাঁরা করবেন বলে আশা রাখি।’
আজ শনিবার দুপুরে বরিশাল সার্কিট হাউজে পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভায় এ কথা বলেন সিইসি।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান রেখে নির্বাচন কমিশনের প্রধান বলেন, ‘নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন যেন কেউ না করতে পারে সেজন্য আপনাদের সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হিজলা, মুলাদী, মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলায় যেমন পরিবেশ-পরিস্থিতি হোক না কেন আমাদের নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। এসব এলাকায় নির্বাচন সুষ্ঠু করতে যা যা করণীয় তা আপনারা করবেন। নির্বাচনে বিধিবহির্ভূত কোনো কাজ করতে দেওয়া হবে না। কেউ যদি করতে চান তাহলে তাঁকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে, কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।’
সিইসি বলেন, ‘দেশে এবার ৩৭১টি নির্বাচনি এলাকায় ভোট সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার ভয়াবহতা দিন দিন বাড়ছে। আমরা চেয়েছিলাম, করোনার প্রকোপ কমলে নির্বাচন সম্পন্ন করা হবে। কিন্তু করোনার প্রকোপ কমছে না। ফলে এর মধ্যেই আমাদের নির্বাচনের আয়োজন করতে হচ্ছে।’
নুরুল হুদা আরও বলেন, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে আমাকে অনুরোধ করা হয়েছে, যেসব এলাকায় করোনার প্রকোপ বেশি সেসব এলাকায় যেন নির্বাচনের আয়োজন না করি। এজন্য আমরা খুলনা, সাতক্ষীরার মতো অধিক সংক্রমিত ১৬৩টি এলাকায় নির্বাচন স্থগিত করেছি। তবে বরিশাল, মাদারীপুর অঞ্চলে করোনার সংক্রমণ কম হওয়ায় এমন ২০৮টি অঞ্চলে ২১ জুন যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে স্থানীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তারাও একমত পোষণ করেছেন। করোনার ঝুঁকি নিয়ে আপনারা এসেছেন। এজন্য আপনাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।’
সভায় স্থানীয় রাজনীতির সমীকরণ আর অভ্যন্তরীণ দলাদলির কারণে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিশৃঙ্খলার শঙ্কা প্রকাশ করেন মাঠ পর্যায়ের নির্বাচন কর্মকর্তারা। পরিস্থিতি সামলাতে প্রত্যেক ইউনিয়নে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের দাবি তুলেছেন নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার সাইফুল হাসান বাদল, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শাহাবুদ্দিন খান, রেঞ্জ উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) এস এম আক্তারুজ্জামান, নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহম্মেদ খান, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দীন।