প্রেমের টানে ইন্দোনেশিয়ার তরুণী লক্ষ্মীপুরে
মালয়েশিয়ায় চাকরির সুবাদে বাংলাদেশের লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুরের যুবক মামুন হোসেনের সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার তরুণী সিতি রাহাইউর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দীর্ঘ পাঁচ বছর প্রেমের সম্পর্কের পর ছুটিতে লক্ষ্মীপুরে এসে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন তাঁরা।
গতকাল রোববার বিকেলে লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের আইনজীবী শাকিল পাটওয়ারী জানান, তাঁর মাধ্যমেই এফিডেভিট ও বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন সিতি ও মামুন।
জানা গেছে, শনিবার বিকেলে মালয়েশিয়া থেকে একটি ফ্লাইটে রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে নামেন মামুন ও সিতিকা। পরে মামুন তাঁকে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার কেরোয়া ইউনিয়নের আট নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর কেরোয়া গ্রামের সুনামগঞ্জ এলাকার কাজী বাড়িতে নিয়ে আসেন। রোববার লক্ষ্মীপুর আদালতে উপস্থিত হয়ে তিন লাখ টাকা দেনমোহরে তাঁরা বিয়ে করেন।
সিতি রাহাইউ ইন্দোনেশিয়ার বিনজাই শহরের ফুনুং কারাংয়ের বাসিন্দা মৃত জুমিরান ও রাতনারিং দম্পতির মেয়ে। মামুন হোসেন রায়পুর উপজেলার উত্তর কেরোয়া গ্রামের রফিক উল্লাহ ও সেতারা বেগমের ছেলে। তাঁরা মালয়েশিয়ার রাজধানীতে একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।
আজ সোমবার সরেজমিনে বাড়িতে গিয়ে মামুনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ‘২০১৭ সালে চাকরির সুবাদে মালয়েশিয়ায় সিতির সঙ্গে মামুনের পরিচয় হয়। এরপর তাদের বন্ধুত্ব। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের জন্য মালয়েশিয়া থেকে দুজনই এক মাসের ছুটি নিয়ে বাংলাদেশে আসেন। ছুটি শেষে আবারও মালয়েশিয়ায় ফিরে যাবেন। তবে সিতি বাংলাদেশে থাকতে আগ্রহী।
মামুনের বাবা রফিক উল্লাহ বলেন, ‘মালয়েশিয়ায় থাকাকালীন সিতির সঙ্গে কথা হয়েছে। বাড়িতে এসে প্রথমদিনই খুব সহজে সবার সঙ্গে সিতির ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়। আপনজনের মতো সবাইকে গ্রহণ করেছে। সিতিকে দেখতে সবাই বাড়িতে এসে ভিড় জমাচ্ছে।’
আদালত প্রাঙ্গণে সিতি রাহাইউ জানান, ‘মামুনকে তিনি অনেক ভালোবাসেন। তাই তাঁরা বিয়ে করেছেন। মামুনের পরিবারের মানুষের আতিথেয়তা ও ভালোবাসায় তিনি মুগ্ধ।’
কেরোয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘ঘটনাটি সত্য। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। মালয়েশিয়া থেকে দেশে এসে তাঁরা বিয়ে করেন।’
লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের আইনজীবী শাকিল পাটওয়ারী বলেন, ‘মামুন ও সিতি মালয়েশিয়ায় একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন। সেখানেই তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। শনিবার তারা দেশে আসেন। আজ তারা বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন।’