ফরিদপুরের ৩ পৌরসভায় কাল থেকে ‘কঠোর লকডাউন’
ফরিদপুরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় তিন পৌরসভায় আগামীকাল সোমবার সকাল ৬টা থেকে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। আজ রোববার সকালে জেলা প্রশাসক অতুল সরকার স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ লকডাউনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
লকডাউনের মধ্যে শুধু কাঁচাবাজার ও ওষুধের দোকান ছাড়া সবকিছুই বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে। লকডাউনের নির্দেশনা যারা মানবেন না, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার।
করোনা সংক্রমণের হার ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় জেলা করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির জরুরি সভায় ফরিদপুর, ভাঙ্গা ও বোয়ালমারী পৌর এলাকায় লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জেলা প্রশাসন থেকে ঘোষিত গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, লকডাউন চলাকালে ওই তিনটি পৌর এলাকায় সব ধরনের যানবাহন প্রবেশ ও বহির্গমন বন্ধ থাকবে। তবে জরুরি প্রয়োজনে জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের অনুমোদন সাপেক্ষে যাতায়াত করা যাবে।
এ ছাড়া সব সাপ্তাহিক হাট (পশুর হাটসহ), আবাসিক হোটেল, বিনোদন কেন্দ্র, কমিউনিটি সেন্টার, পার্ক, মেলা, সামাজিক অনুষ্ঠান, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক সমাবেশ, সিনেমা হল, ভ্রাম্যমাণ ফাস্ট ফুড, স্ট্রিট ফুড, এলাকাভিত্তিক মুদি ও চায়ের দোকান, খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁ, মিষ্টির দোকানসহ জনসমাগম হয় এমন সবকিছু বন্ধ থাকবে।
পাশাপাশি সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস, ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান যাতায়াতের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় কঠোর স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন সাপেক্ষে খোলা থাকবে।
রোগী পরিবহণ, অ্যাম্বুলেন্স বা যেকোনো জরুরি প্রয়োজনে জেলা প্রশাসন (০১৭০১৬৭০০০৮), জেলা পুলিশ (০১৩২০০৯৮২৯৮) ও সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে স্থাপিত হটলাইনে (০১৭১৭২৮৫৭২১) যোগাযোগ করা যেতে পারে। ঘরে বসে কোভিড-১৯ এর চিকিৎসা পেতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে (০১৭২০১১৬৬৬১, ০১৭৬৯৯৫৭০৯২) যোগাযোগ করা যেতে পারে।
জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, প্রথম দফায় এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে সময় আরও বাড়ানো হতে পারে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ২১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা. সিদ্দিকুর রহমান। তিনি নিজেও করোনায় আক্রান্ত বলে জানা গেছে।
ফরিদপুর জেলায় গত এক সপ্তাহে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫২৬ জন। আর মৃত্যুবরণ করেছেন ১১ জন।