ফরিদপুরে ইউপি সদস্যের ওপর হামলা, দোষীদের আটকের দাবি
ফরিদপুরের সালথা উপজেলার যদুনন্দি ইউনিয়নের ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ইমরুল খানের (৫০) ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। গত শুক্রবার চাঁদার দাবিতে সন্ত্রাসীরা এ হামলা চালায় বলে দাবি করা হয়। পরে স্থানীয়রা মারাত্মক আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে।
এদিকে, তার ওপর হামলার ঘটনায় দোষীদের বিচার দাবিতে জরুরি এক সংবাদ সম্মেলন করেছে পরিবারের সদস্যরা।
আজ শনিবার দুপুরে ফরিদপুরে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলন থেকে লিখিত বক্তব্যে তার মেয়ে নিতু খান বলেন, তিন লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ার কারণে বর্তমান ইউপি সদস্য ইমরুল খানকে শুক্রবার সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে। বর্তমানে তিনি মারাত্মক আহত অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এ ঘটনায় সালথা থানায় একটি অভিযোগ করা হয়। কিন্তু এখনও আসামিদের আটক করতে পারেনি পুলিশ। হামলার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানান ইউপি সদস্যের স্বজনেরা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্যের স্ত্রী মোসা. ফাহিমা খানম, বড় ভাই হান্নান খান, মেয়ে নিতু খান, ছোট শিশু সন্তান আবদুল্লা খানসহ প্রিন্ট ও ইলেকটনিক্স মিডিয়ার কর্মরত সাংবাদিকরা।
আহত ইমরুলের ছোট ভাই রাজু বলেন, ‘খারদিয়া গ্রামের ইরন খন্দকার, রাজন খন্দকার, ওহিদ খন্দকার, হিমায়েত মোল্যা ইমরুল মেম্বারের কাছে তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা না দেওয়ায় গতকাল তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ওহিদ খন্দকারের বাড়ির সামনে হাতুড়ি ও রড দিয়ে বেধরক পিটিয়ে আহত করে। এতে তার দুই পায়ের হাড় ভেঙে গেছে।’
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর মিয়া বলেন, ‘ইমরুল ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য তার ওপর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’
এদিকে. হামলাকারীরা পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশিকুজ্জামান বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’