ফরিদপুরে পদ্মার পানি বিপৎসীমার ৭৪ সেন্টিমিটার উপরে
ভারি বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে ফরিদপুরে পদ্মা নদীর পানি গত নয় দিন ধরে বেড়েই চলেছে। এ ফলে জেলায় বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মা নদীর পানি ৫ সেন্টিমিটার বেড়ে এখন তা বিপৎসীমার ৭৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ফরিদপুরের সাতটি উপজেলার ২৩টি ইউনিয়ন ও সদর উপজেলার নর্থ চ্যানেল, ডিক্রিরচর, চরমাধবদিয়া, অম্বিকাপুর ও আলিয়াবাদ ইউনিয়নসহ নতুন করে ২২৩টি গ্রামের ৫০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ফলে এসব এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
বন্যার পানি কয়েক দিনে অব্যাহতভাবে বাড়তে থাকায় নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের হাজারো মানুষের মধ্যে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ। বন্যার কারণে ফরিদপুরের বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলি জমি তলিয়ে যাওয়ায় ধান ও সবজিক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে, সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়নের একটি রাস্তা ভেঙে অনেক বাড়িঘরে পানি উঠে গেছে।
এর মধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফরিদপুরের সাতটি উপজেলার ২৩টি ইউনিয়নে কয়েক হাজার পরিবারের মধ্যে শুকনা খাবার ও ছয় লাখ টাকা বিতরণ করেছে।
অপরদিকে, আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুরে মধুমতি নদী এবং চরভদ্রসন উপজেলার গাজীরটেক ইউনিয়নের ভাঙ্গীডাঙি ও চরহরিরামপুর গ্রামে পদ্মা নদীর ব্যাপক ভাঙনে অনেক বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এসব এলাকার লোকজন ভিটামাটি হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
অপরদিকে, মধুমতি নদীর ভাঙনে মধুখালী উপজেলার সালামতপুর গ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফের বাড়ি ও জাদুঘর ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এসব নিদর্শন যেকোনো সময় বিলীন হয়ে যেতে পারে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।