ফরিদপুরে লুট ও হত্যা মামলায় পাঁচজনের যাবজ্জীবন
ফরিদপুরে চালককে হত্যা করে মোটরসাইকেল লুটের মামলায় পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একইসাথে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে চার মাসের জেল দেওয়া হয়। সোমবার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অশোক কুমার দত্ত।
রায় ঘোষণার সময় নূর ইসলাম ওরফে নজরুল ইসলাম (৪৪) নামে এক আসামি আদালতে হাজির ছিলেন। নূর ইসলাম গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার মহেষপুরের গ্রামের মো. ইসরাইলের ছেলে। মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন আলফাডাঙ্গা উপজেলার কোনাগ্রামের কবডর শেখের ছেলে মনির শেখ (৩৪), মৃত আকরাম মোল্যার ছেলে ইকতার মোল্যা (৩৩), বোয়ালমারীর বনচাকী গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের ছেলে এনায়েত আমীন (৩৯) ও কাশিয়ানীর ব্যাসপুর গ্রামের মৃত ইছাহাক শেখের ছেলে মিরাজ ওরফে মিরুজ (৩৯)।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১২ সালের ২৮ জুলাই সকালে আলফাডাঙ্গার ধুলজুড়ি গ্রামের মৃত ছবুর শেখের ছেলে শহিদুল ইসলাম ওরফে কালাচাঁনের (৩০) মৃতদেহ একটি ক্ষেত থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের চাচা আক্কাস শেখ বাদি হয়ে আলফাডাঙ্গা থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। কালাচাঁন ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালাতেন। মামলার তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ৩১ জুলাই মামলার চার্জশিট দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সিরাজুল ইসলাম। মামলায় বাদি ও দুজন পুলিশসহ আটজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
রায় ঘোষণার সময় আদালত পর্যবেক্ষণে বলেন, এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যার কোনো পরিকল্পনা পাওয়া যায়নি। তারা ঘটনার আগেরদিন বিকেলে কোনাগ্রামে এক হয়ে সিদ্ধান্ত নেয় একটি গাড়ি ঠেকাবে। সে অনুযায়ী রাত ১১টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে রাস্তার দুপাশে গাছের সাথে রশি বেঁধে কালাচাঁনকে ফেলে মোটরসাইকেলটি আটকায়। এরপর আসামি মনির মোটরসাইকেলটি রাখে আর অন্যরা তাঁকে ক্ষেতের মধ্যে নিয়ে কুপিয়ে জখমের পর তার মৃত্যু হয়।
মামলায় নিযুক্ত সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) অ্যাডভোকেট নবাবউদ্দিন বলেন, রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।