ফরিদপুরে হাতকড়াসহ পালানোর ঘটনায় গ্রেপ্তার ১১
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায় হাতকড়াসহ এক যুবকের পালানোর ঘটনায় পুলিশ আজ শনিবার দুপুর পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এদের মধ্যে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা জালালউদ্দিনও রয়েছেন।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে আলফাডাঙ্গা উপজেলার পাঁচুড়িয়া ইউনিয়নের বেড়িরহাট গ্রামে মো. বরকত হোসেন (২৩) নামের ওই যুবক হাতকড়া অবস্থায় পুলিশকে মেরে পালিয়ে যান।
বরকত হোসেন ওই গ্রামের বাসিন্দা ও বেড়িরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিজামুদ্দিন ওরফে মঞ্জু মাস্টারের ছেলে। তার পরিবারের দাবি, বরকত মানসিক রোগী।
স্থানীয়রা জানায়, ছোটবেলা থেকেই বরকত একটু পাগলাটে ধরনের।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় পাচুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আলমগীর হোসেন জানান, সেখানে একটি গ্রাম্য সালিশ চলছিল। এক পর্যায় উত্তেজনা সৃষ্টি হলে আলফাডাঙ্গা থানার পুলিশ মঞ্জুর হোসেন প্রথমে বরকতের হাতে হাতকড়া পরান। এ সময় বাকবিতণ্ডা ও ধস্তাধস্তির সময় বরকত অন্য হাত দিয়ে পুলিশ সদস্য মঞ্জুর হোসেনকে ঘুষি মারেন। এরপর আরেক পুলিশ সদস্য জামালউদ্দিনকেও ঘুষি মেরে পালিয়ে যান।
এ ব্যাপারে আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, ‘বেড়িরহাট গ্রামে একটি সালিশে দুপক্ষের বাকবিতণ্ডা হয়। এ খবর শুনে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বরকত হোসেন নামের ওই যুবককে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করে। তাঁকে হাতকড়াও পরানো হয়। তখন বরকতের লোকজন পুলিশের কাছ থেকে হাতকড়াসহ তাঁকে ছিনিয়ে নেয়।’
ওসি আরও জানান, এ ঘটনার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে আজ দুপুর পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। বরকতের বাবা মঞ্জুর হোসেন মাস্টারকে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, এ ঘটনায় সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অপরাধে আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।