ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘের রেজুলেশনের ভিত্তিতে সঙ্কটের শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য এবং ইসরায়েলি দখলদারিত্বের অবসান এবং ১৯৬৭ সালের আগের সীমান্ত অনুযায়ী একটি স্বাধীন, সার্বভৌম ও টেকসই প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়ে বাংলাদেশের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ‘নাকবা’-এর ফলাফল ফিরিয়ে আনতে এবং সার্বভৌম স্বদেশে নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও মর্যাদায় নিয়ে বসবাসের জন্য ফিলিস্তিনি জনগণের বৈধ অধিকার ও আকাঙ্ক্ষা পুনরুদ্ধার করার জন্য প্রচেষ্টা জোরদার করার আহ্বান জানান।
গতকাল মঙ্গলবার (১৬ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বার্তায় জানায়, প্রধানমন্ত্রী ১৯৪৮ সালের ১৫ মে তারিখে ‘নাকবা’ (বিপর্যয়) এর ৭৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে একটি বার্তা জারি করেন, যা ফিলিস্তিনি সমাজ ও স্বদেশের ধ্বংস ও সংখ্যাগরিষ্ঠ ফিলিস্তিনি জনগণের স্থায়ী বাস্তুচ্যুতকে চিহ্নিত করে।
বার্তায়, বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে তিনি ১৯৪৮ সালের এই দিনে ও এরপর থেকে এখন পর্যন্ত নিজেদের ভূমি থেকে বাস্তুচ্যুত ও উচ্ছেদ হওয়া ফিলিস্তিনিদের প্রতি গভীর সহানুভূতি ও অটুট সংহতি প্রকাশ করেন, যা আজ পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন যে, নাকবা শুধুমাত্র ফিলিস্তিনিদের তাদের নিজস্ব ভূমি থেকে হিংসাত্মক বিতাড়ণমূলক কাজই ছিল না, এটি আজকে ইসরায়েলি বর্ণবাদ নামে পরিচিত, তারও সূচনা করেছিল।
প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের সদর দপ্তরে প্রথমবারের মতো এই দিবসটি পালনের জন্য ফিলিস্তিনি জনগণের একচ্ছত্র অধিকারের অনুশীলন সংক্রান্ত জাতিসংঘ কমিটিকে ধন্যবাদ জানান।
এই দিবসটি ফিলিস্তিনিদের প্রতি ঐতিহাসিক অবিচারের সময়োপযোগী চিহ্ন এবং জাতিসংঘ ও এর সদস্যদের দায়িত্ব এই লজ্জাজনক বিপর্যয়ে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ফিলিস্তিনিরা যে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে তার অবসান করা।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “ফিলিস্তিনিরা ন্যায়বিচার ও সমাধান চায়, যা কেবলমাত্র এই দুঃখজনক ঘটনার প্রকৃত দোষীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার মাধ্যমে, ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের ও অব্যাহত দখলদারদের অধীনস্ত এলাকায় বসবাসকারী ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য একটি ন্যায্য সমাধান নিশ্চিত করার মাধ্যমে করা যেতে পারে।”