ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ : নিহত ১, আহত ২০
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে হুমায়ুন কবির নামে একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২০ জন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৩০ রাউন্ড টিয়ার গ্যাসের শেল ও ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এখন দুই গ্রামেই মোতায়েন রয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।
আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার ধূলদিয়া ইউনিয়নের রায়খলা ও সতরদোন গ্রামবাসীর মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে নিহত হুয়ামুন রায়খলা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য কামাল হোসেনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ধূলদিয়া এলাকায় হাজী শামসউদ্দীন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সতরদোন গ্রামের ছেলেরা খেলতে আসে। এ সময় রায়খলা গ্রামেরও একদল ছেলে খেলতে চাইলে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়।
এ ঘটনার জেরে সন্ধ্যার দিকে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে আজ সকালে তাদের মধ্যে আবারও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে দুই পক্ষই দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে একে অপরের ওপরের হামলা করে। এতে টেঁটার আঘাতে গুরুতর আহত হন হুমায়ুন। পরে কিশোরগঞ্জে সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় ধূলদিয়া বাজারে বেশ কয়েকটি দোকানপাটেও হামলা হয় বলে জানা গেছে।
কটিয়াদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দুই পক্ষের সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ ৩০ রাউন্ড টিয়ার গ্যাসের শেল ও ফাঁকাগুলি ছুড়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। দুই গ্রামেই অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।’
নিহত হুমায়ূন কবীরের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।