ফুলপরীকে নির্যাতনের ভিডিও ধারণ করা মোবাইল ফোন জমা দেওয়ার নির্দেশ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী ফুলপরী খাতুনের আপত্তিকর ভিডিও যে মোবাইল ফোন দিয়ে ধারণ করা হয়েছিল, সেটি সংগ্রহ করে আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে ইবি শিক্ষার্থীদের ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নিরাপত্তা দিতে কুষ্টিয়া ও পাবনার পুলিশ সুপারদের (এসপি) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া এ বিষয়ে আদেশ দেওয়ার জন্য আগামী ৮ মার্চ পরবর্তী দিন ঠিক করেছেন আদালত।
এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি নিয়ে আজ বুধবার (১ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
জানা গেছে, ফুলপরীর ভিডিও ধারণ করা হয়েছিল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের ছাত্রী হালিমা আক্তার ঊর্মির মোবাইল ফোন দিয়ে। সেটি সংগ্রহ করে ধারণ করা ভিডিও উদ্ধার করে তা আদালতে দাখিল করতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আদালতে এদিন রিট আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন গাজী মো. মহসীন। তার সঙ্গে ছিলেন আজগর হোসাইন তুহিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
এর আগে সকালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী জড়িত পাঁচ ছাত্রীকে সাময়িক বহিষ্কারের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি বহিষ্কৃতদের ক্যাম্পাসের বাইরে রাখতে বলা হয়েছে। এছাড়া হল প্রভোস্টকে প্রত্যাহারের নির্দেশসহ ইবির হলগুলোর সিসিটিভি মনিটরিং বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বহিষ্কার হওয়া পাঁচ ছাত্রী হলেন—পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী ও ইবি ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, চারুকলা বিভাগ ২০২০-২০২১ সেশনের শিক্ষার্থী হালিমা আক্তার উর্মি, আইন বিভাগের ২০২০-২০২১ সেশনের ইসরাত জাহান মীম, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের তাবাসসুম ইসলাম ও মোয়াবিয়া জাহান।