নড়াইলের লোহাগড়ায় কলেজছাত্রীর আপত্তিকর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ায় লোকলজ্জার ভয়ে ও ক্ষোভে-অপমানে এক কলেজছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন।

গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় নিজ বাড়িতে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন ওই কলেজছাত্রী। সংবাদ পেয়ে লোহাগড়া থানা পুলিশ রাতেই কলেজছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে আজ শনিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

আত্মহননকারী ছাত্রীর চাচাতো ভাই জানান, লোহাগড়া উপজেলার মল্লিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের পাঁচুড়িয়া গ্রামের শহিদুল থান্দারের ছেলে তাশরিফ থান্দারের সঙ্গে কলেজছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমিক তাশরিফ গোপনে তার আপত্তিকর ছবি মোবাইল ফোনে ধারণ করে বিভিন্ন সময় অনৈতিক মেলামেশার প্রস্তাব দেন। প্রস্তাবে তিনি রাজি না হওয়ায় তাশরিফ তার কাছে থাকা আপত্তিকর ছবি ওই ছাত্রীর এবং তার বান্ধবীদের মোবাইল ফোনে পাঠিয়ে দেন।

পরে ছবির বিষয়টি পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের মধ্যে জানাজানি হয়ে যায়। ওই ছাত্রীর মা মোবাইল ফোন চেক করে আপত্তিকর ছবি দেখতে পেয়ে মেয়েকে বকাঝকা ও গালাগাল করেন। এ দিকে প্রেমিক তাশরিফের মা ওই ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে তাকে ও পরিবারের লোকজনকে বকাঝকা করে আসেন।

আপত্তিকর ছবি পরিবার, আত্মীয়স্বজন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় বিষয়টি গ্রামবাসীসহ এলাকার সর্বসাধারণের মধ্যে জানাজানি হয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই ছাত্রী লোকলজ্জার ভয়ে ও ক্ষোভে গতকাল সন্ধ্যায় পরিবারের সদস্যদের অজান্তে বাড়ির নির্মাণাধীন ভবনের সিলিং ফ্যানের রডের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন।

লোহাগড়া থানার ওসি শেখ আবু হেনা মিলন বলেন, ‘লাশের ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় বর্ষার পরিবারের পক্ষ থেকে আজ লোহাগড়া থানায় আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে।