ফোরামের পাল্টা কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন তৈমূর আলম
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট শাখায় অনুমোদিত কমিটির পাল্টা কমিটি গঠনের দুদিন বাদেই সভাপতির পদ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তৈমূর আলম খন্দকার। পদত্যাগপত্রটি সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার তৈমূর আলম খন্দকার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘অনেকটা আবেগের বশবর্তী হয়ে পাল্টা কমিটি করেছিলাম। এখন ঐক্যের স্বার্থে আমি এই ঘোষিত কমিটি বাতিল করেছি।’
গত ২৬ জানুয়ারি আইনজীবী আবদুল জব্বার (এ জে) ভূঁইয়াকে সভাপতি ও গাজী কামরুল ইসলাম সজলকে সাধারণ সম্পাদক করে ২৫১ সদস্যবিশিষ্ট বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট বার শাখার কমিটি ঘোষণা করা হয়। পরে ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান এই কমিটির অনুমোদন দেন।
এর পরই গত ১ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট বার ভবনে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের ক্ষুব্ধ একটি অংশ অনুমোদিত কমিটির বিপরীতে একটি পাল্টা কমিটির ঘোষণা দেন। এতে অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারকে সভাপতি এবং এ বি এম রফিকুল হক তালুকদার রাজাকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটির ঘোষণা দেওয়া হয়।
এরপর গতকাল বুধবার তৈমূর আলম খন্দকার নিজেকে কমিটি থেকে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগপত্রে তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, ‘অনেকটা আবেগের বশবর্তী হয়ে আমরা একটা পাল্টা কমিটি গঠন করেছিলাম। ভবিষ্যতে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত কর্মকাণ্ড থেকে নিজেকে বিরত রাখার অঙ্গীকার করছি। আমার ঘোষিত কমিটি বাতিল করছি। একইসঙ্গে সদ্যঘোষিত আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার অঙ্গীকার করছি।’
তবে তৈমূর আলম খন্দকার পদত্যাগ করলেও সভাপতি পদে তাঁর নাম রেখেই ৫০১ সদস্যের কমিটি গঠনের দাবি করেছে পাল্টা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হক তালুকদার রাজা। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা ৫০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি করেছি। সভাপতি পদত্যাগ করলেও সহসভাপতিদের মধ্য থেকে একজন সভাপতির দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।’