বগুড়ায় নিখোঁজ দুই নৈশপ্রহরীর লাশ মিলল সেপটিক ট্যাংকে
বগুড়ায় পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবির পরেরদিন নিখোঁজ দুই নৈশপ্রহরীর মরদেহ তাদের কর্মস্থলের ভবনের সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় পুলিশ তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহতেরা হলেন- বগুড়া সদরের বড় সরলপুর গ্রামের আব্দুল হান্নান (৪৫) ও শিবগঞ্জ উপজেলার প্রতাপবাজু গ্রামের সামছুল হক। নিহত দুজনই বগুড়া শহরের বিসিক শিল্পনগরীর মেসার্স মাছু অ্যান্ড সন্স ইন্ডাস্ট্রিজ নামের ঢালাই কারখানার নৈশপ্রহরী ছিলেন।
নিহত হান্নানের চাচা নুরুল ইসলাম জানান, গত বুধবার সন্ধ্যার পর বাড়ি থেকে ডিউটিতে যায় হান্নান। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে হান্নানের মোবাইল ফোন থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রী হিরা খাতুনকে ফোন করে বলে তোমার স্বামীকে ফিরে পেতে হলে পাঁচ লাখ টাকা দিতে হবে। এদিকে সকাল ১০টা বাজলেও হান্নান বাড়ি না ফিরলে স্ত্রী স্বামীর কর্মস্থলে যান। সেখানে জানতে পারেন তার স্বামীর সঙ্গে ডিউটিরত অপর নৈশপ্রহরী সামছুল হককেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এদিকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা কারখানার পরিচালক মোস্তফা আলীমুর রাজীবের কাছে ফোন করে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে। বিষয়টি থানা পুলিশকে বৃহস্পতিবারই জানানো হয়।
এদিকে, শুক্রবার দুপুরের পর কারখানা কর্তৃপক্ষ রফিকুল নামের সাবেক এক নৈশপ্রহরীকে ডেকে এনে কারখানার মধ্যে তল্লাশি করতে বলে। বিকেলের দিকে কারখানার পেছনে সেপটিক ট্যাংকের মধ্যে দুজনের মরদেহের সন্ধান পাওয়া যায়। পরে থানায় সংবাদ দেওয়া হলে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে নিয়ে যান।
নিহত হান্নানের স্ত্রী হিরা খাতুন বলেন, ‘অজ্ঞাতব্যক্তি ফোন করে বলে, তোমার স্বামীর সঙ্গে কোনো শত্রুতা নাই। কারখানার মালিকের সঙ্গে ঝামেলা আছে। এজন্য তোমার স্বামীকে আটকানো হয়েছে। কারখানার মালিক পাঁচ লাখ টাকা দিলে তোমার স্বামীকে ছেড়ে দিব।’
বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাটি রহস্যজনক। বাইরে থেকে কাউকে ভেতরে প্রবেশের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। কারখানার ভেতরের কোনো মালামালও খোয়া যায়নি। রহস্য উদঘাটনের জন্য পুলিশের একাধিক টিম কাজ শুরু করেছে।’