বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশে আনার ব্যবস্থা চলছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিদের কয়েকজনের অবস্থান নিশ্চিত হওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি বলেন, তাদেরকে দেশে আনার প্রক্রিয়া চলছে।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এই কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব স্মরণে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর খুনিদের মধ্যে দুই-একজনের অবস্থান নিশ্চিত হওয়া গেছে। যাদের অবস্থান নিশ্চিত হয়েছে, তাদের দেশে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। ঘাতকরা চেয়েছিল বঙ্গবন্ধুর রক্ত দেশ থেকে মুছে ফেলতে, কিন্তু তাদের সে চক্রান্ত সফল হয়নি।
মন্ত্রী বরিশালে জাতীয় শোক দিবসের পোস্টার-ব্যানার অপসারণকে কেন্দ্র করে প্রশাসন ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের মুখোমুখি অবস্থানকে ‘ভুল-বোঝাবুঝি’ হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের দায়িত্ব পালন করেছে। রাজনীতিবিদরা রাজনীতি করেন। তাদের সঙ্গে ভুল-বোঝাবুঝি হতেই পারে। এটা সব সময় হয়ে থাকে। এটা নতুন কিছু নয়।
আগস্ট মাসে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা, গ্রেনেড হামলাসহ বিভিন্ন বিষয় উল্লেখ করে আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, বিএনপি-জামায়াত সব ধরনের অপকর্মের জন্য আগস্ট মাসকে কেন বেছে নেয় আমার জানা নেই। কারণ, তারাই বিএনপি, তারাই জামায়াত, তারাই শিবির। এজন্য তারা আগস্টকে সব ষড়যন্ত্রের জন্য বেছে নেয়। আমরা ১৭ আগস্টে এই ঘটনা দেখেছি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের এমন গলি নেই, এমন পাড়া নেই, এমন মহল্লা নেই যেখানে যেখানে বঙ্গবন্ধুর জন্য আজকে দোয়া হচ্ছে না, যেখানে বঙ্গবন্ধুর জন্য আজকে মানুষ কাঁদছে না। আজকে আমরা বলি, জীবিত মুজিবের চেয়ে মৃত মুজিব অনেক বেশি শক্তিশালী। সেটাই প্রমাণিত হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক বলেন, জাতির পিতার হত্যার পর বাংলাদেশ যখন পিছিয়ে যাচ্ছিল, তখন ১৯৯৬ সালে জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশ আবারও একটি উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিল। কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণ করতে দেয়নি বিএনপি-জামায়াত। তারা ক্ষমতায় এসে দেশকে জঙ্গিবাদের অভয়ারণ্যে পরিণত করেছিল। তারা একত্রে ৫০০ জায়গায় বোমা হামলা করেছিল। তাদের শাসনামলে দেশ অনেক পিছিয়ে গেছিল। কিন্তু ২০০৯ সালে আবারও শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশ উন্নত বিশ্বের স্বপ্ন দেখতে থাকে। তিনি বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথ ধরে এই দেশকে দ্রুত উন্নয়নের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ সারা দুনিয়ায় মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।
ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহিম হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. সাইদুর রহমান হৃদয়ের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য প্রমুখ।