বঙ্গবন্ধুর খুনিদের নিরাপদে বিদেশে পাঠানো হয় : ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের নিরাপদে বিদেশে পাঠানো এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান।
আজ শনিবার জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব-এর ৯২তম জন্মদিন উপলক্ষে ‘প্রেরণাদায়িনী মা’ শীর্ষক শিল্পকর্ম প্রদর্শনীপূর্ব আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-এর শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপ-কমিটি এ আয়োজন করে।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি আজ একটা প্রশ্ন করবো, আগস্ট এলে এ প্রশ্ন অনেকবার করেছি। জবাব পাইনি। ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের নিরাপদে বিদেশে পাঠানো, বাংলাদেশের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি কে দিয়েছিল? জিয়াউর রহমান। পলাশীর মীর জাফর আলী খানের জায়গায় খন্দকার মোশতাক। সেনাপতি ইয়ার লতিফ, রায় দুর্লভের জায়গায় জিয়াউর রহমান বিশ্বাসঘাতকতার রক্ত ছুঁড়েছে ৭৫ এ। কেনো ৭৫ এর খুনিদের পুরস্কৃত করা হলো। এ প্রশ্নের জবাব বিএনপি কোনো দিনও দিতে পারবে না। খুনিদের বিচার বন্ধে ইনডেমনিটি অডিয়েন্সকে সংবিধানের ৫ম সংশোধনীতে অন্তর্ভুক্ত করেছিল, তাদের নেতা জিয়াউর রহমান।’
তিনি বলেন, ‘এদের সাথে রাজনীতিতে কর্ম সম্পর্ক কীভাবে থাকবে। মাঝে মাঝে ভাবি ৭৫ এর ঘাতকদের সাথে কীভাবে কর্ম সম্পর্ক রাখব রাজনৈতিক অঙ্গনে। এরা কারা? এরা তাদেরই রাজনীতি করে, যাদের রাজনীতি ছিল হত্যা-ষড়যন্ত্রের রাজনীতি। বন্দুকের নল থেকে যাদের জন্ম। বঙ্গবন্ধুর হত্যার নেপথ্যের মাস্টারমাইন্ড, তারাই ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে প্রাইম টার্গেট করে গ্রেনেড হামলা করেছিল। কীভাবে এদের সঙ্গে রাজনীতি করবো। কর্ম সম্পর্কের দেওয়াল তো তারাই তুলেছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব শুধু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী ছিলেন না, ছিলেন সহযোদ্ধা ও সহকর্মী। নীরবে রাজনৈতিক সহকর্মী। নীরবে রাজনীতির সহযোদ্ধা। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের তিন ছেলে। তাদের হত্যা করা হয়েছিল ভবিষ্যতে রাজনীতি করবে, সেজন্যই এ হামলা। কিন্তু আমি জানতে চাই, বেগম মুজিব তো সক্রিয় রাজনীতি করেননি। এ অবলা নারী কেনো হত্যাকাণ্ডের শিকার হলেন? নয় বছরের শিশু শেখ রাসেল কেনো হত্যাকাণ্ডের শিকার হলেন। কি অপরাধ তাদের।’
আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল খালেক, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, অধ্যাপক নাসরীন আহামদ, চিত্রশিল্পী হাশেম খান, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এবং শিক্ষা ও মানবসম্পদ উপ-কমিটির সদস্য বদিউজ্জামান সোহাগ এ সময় বক্তব্য রাখেন।