বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে কাউকে জল ঘোলা করতে দেব না : আইজিপি
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে কাউকে জল ঘোলা করতে দেব না। পানিই পরিষ্কার করে দেব।’
রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে আজ মঙ্গলবার দুপুরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন পুলিশের প্রধান। ‘বাংলাদেশ পুলিশে সর্বাধুনিক অপারেশন গিয়ার প্রচলন’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে উদ্বোধন করেন তিনি। পরে তিনি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন।
বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘থানা হচ্ছে মানুষের জীবন রক্ষা করার জন্য, জীবন নেওয়ার জন্য নয়।’ এ সময় পুলিশের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, ছোটোখাটো যে অভিযোগ, বিশেষ করে দুর্নীতি কিংবা মানুষের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা, সেগুলোর বিরুদ্ধে কাজ করা। এটা এরই মধ্যে আমরা শুরু করেছি।’
‘এসব ব্যাপারে আমার স্পষ্ট উচ্চারণ, আমি পাবলিকলি বলি যে, যারা দুর্নীতি করতে চান তাঁরা চাকরি ছেড়ে দিন। পুলিশ বাহিনীর কেউ দুর্নীতি করবে এটা হতে দেওয়া হবে না’, যোগ করেন আইজিপি।
ড. বেনজীর আহমেদ আরো বলেন, ‘দুর্নীতির জন্য পুলিশ বাহিনী না। এবং যারা ভবিষ্যতে চাকরিতে আসবে তাদেরও বলব, যদি মনে কোনো খারাপ কিছু থাকে, এ চাকরিতে এসো না। জনগণের জন্য কাজ করতে হলে আচরণগত বা গুণগত পরিবর্তন আনতে হবে পুলিশের।’
মুজিববর্ষে দেশের মানুষকে আধুনিক পুলিশের এক প্রতিচ্ছবি দেখাতেই সর্বাধুনিক এই অপারেশন গিয়ার প্রবর্তন করা করা হয়েছে বলে জানান বাহিনীর প্রধান। তিনি আরো জানান, প্রাথমিকভাবে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ও চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশে (সিএমপি) এটি চালু করা হবে। পর্যায়ক্রমে এটি সারা দেশে চালু করবে পুলিশ।
সর্বাধুনিক এই অপারেশনাল গিয়ারে তিনটি বিষয় যুক্ত করা হয়েছে বলে জানান আইজিপি। সেগুলো হলো- ট্যাকটিক্যাল বেল্ট, স্মল আর্মস উইথ থাই হোলস্টার ও হ্যান্ডস ফ্রি কমিউনিকেশন।
পুলিশ প্রধান আরো বলেন, এটা চালু করার কিছু উদ্দেশ্য আছে আমাদের। যেমন- পুলিশ সদস্যদের অপারেশনাল সক্ষমতা বাড়াতে হাত খালি রাখা। স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে রুটিন দায়িত্ব পালনের সময় ভারী অস্ত্রের চেয়ে হালকা অস্ত্র ব্যবহার করা। এটি পুলিশ সদস্যদের দীর্ঘক্ষণ দায়িত্ব পালনকে সহজ করবে।
এ সময় আইজিপি এটাও উল্লেখ করেন যে, ‘তবে, অনাকাঙ্ক্ষিত ও অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির উদ্ভব হলে জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে বড় অস্ত্রের ব্যবহার অব্যাহত থাকবে।’
এ ছাড়া বিশ্বের অন্যান্য আধুনিক দেশের মতো বাংলাদেশ পুলিশকেও গড়ে তোলা হবে বলে জানান আইজিপি। তিনি আরো বলেন, পুলিশ ও জনগণের মধ্যে মানসিক দূরত্ব কমিয়ে আনা হবে এবং পুলিশি সেবাকে আরো সহজসাধ্য করা হবে।