জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস এবং তাদের সকল প্রত্যাশার কেন্দ্রবিন্দু জাতীয় সংসদ, উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, জনপ্রতিনিধি হিসাবে জনস্বার্থকে সবকিছুর ঊর্ধ্বে স্থান দিতে হবে। সন্ত্রাস, মাদক, দুর্নীতি ও জঙ্গিবাদ নির্মূলের মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

এসময় তিনি গণতন্ত্র, আইনের শাসন এবং উন্নয়নের মত মৌলিক প্রশ্নে দল, মত, শ্রেণি ও পেশা নির্বিশেষে আপামর জনগণকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার জন্য আহ্বান জানান।

একাদশ জাতীয় সংসদের ১২তম অধিবেশন এবং ২০২২ সালের প্রথম অধিবেশনে আজ রোববার রাষ্ট্রপতি সংসদে ভাষণদানকালে এ কথা বলেন। সংবিধানের বিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি প্রতি বছরের প্রথম অধিবেশনে সরকারের বিগত দিনের সাফল্য, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরে দিকনির্দেশনামূলক ভাষণ দেন। সংসদের রেওয়াজ অনুযায়ি এ ভাষণে ধন্যবাদ প্রস্তাব উত্থাপন করে এর ওপর আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সরকারি ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রপতি লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত গৌরবোজ্জ্বল মহান স্বাধীনতা সমুন্নত রেখে দেশ থেকে সন্ত্রাস, মাদক, দুর্নীতি ও জঙ্গিবাদ নির্মূলের মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।

সরকারি ও বিরোধী দলের সকল সংসদ সদস্যদের প্রতি জাতীয় সংসদে যথাযথ ও কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, নতুন প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ, সুখী, সুন্দর ও উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ উপহার দেওয়া সবার পবিত্র কর্তব্য।

রাষ্ট্রপতি তাঁর ভাষণের শুরুতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাংলাদেশের মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা, জাতীয় চার নেতা এবং অমর শহীদদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে বলেন, তাঁদের বীরত্ব ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে জাতি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ অর্জন করেছে।

আবদুল হামিদ আরও বলেন, ২০২১ সাল ছিল বাঙালি জাতি ও বাংলাদেশের জন্য এক অবিস্মরণীয় বছর। এ বছরেই জাতি উদ্যাপন করেছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী।