বঙ্গবন্ধু সব সময় শোষিতদের বন্ধু ছিলেন : মোজাম্মেল
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করে গিয়েছেন বলেই মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পেরেছি। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশের সৃষ্টি হতো না। বঙ্গবন্ধু সব সময় শোষিতদের বন্ধু ছিলেন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যখন ক্ষমতা গ্রহণ করেছিলেন তখন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের কোষাগারে এক টাকাও ছিল না। বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির প্রেরণার উৎস।’
আজ শনিবার দুপুরে মুন্সীগঞ্জ শহরের পুরাতন কাচারী এলাকার ডিসি পার্ক সংলগ্ন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এসব কথা বলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জেলা পরিষদের জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, মুন্সীগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য মাহী বি. চৌধুরী। জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদারের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ শেখ লুৎফর রহমান, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনিসুজ্জামান আনিস, মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র হাজি মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউল ইসলাম হিরু ও জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহিন মো. আমান উল্লাহ্।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু জাতির সম্পদ। বঙ্গবন্ধু এমন একজন নেতা ছিলেন, যার ব্যক্তিত্বের কাছে বিদেশের নেতারা সমীহ করতেন। বঙ্গবন্ধুর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে মাত্র তিন মাসের মাথায় ভারত-বাংলাদেশ থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করেছিল। একটি সংবিধান দিয়েছিলেন। ১৯৭৩ সালে সাধারণ নির্বাচন দিয়েছিলেন। সব প্রাইমারি স্কুল সরকারি করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা দিয়েছিলেন আর তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা দেশ উন্নত করেছেন। মুন্সীগঞ্জে জাতির জনকের স্থায়ী ম্যুরাল উদ্বোধন করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি।’
প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিরা দাঁড়িয়ে বৈদ্যুতিক সুইচের টিপে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালের উদ্বোধন করেন।
এ সময় বঙ্গবন্ধুর পরিবার, প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনাসহ দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি ও মঙ্গল কামনায় মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন শহর জামে মসজিদের খতিব মুফতি মো. শহীদুল্লাহ।