বঙ্গবাজারে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন না করলে গণভবন ঘেরাও
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের অবিলম্বে পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি জানিয়েছে সমমনা পেশাজীবী গণতান্ত্রিক জোট। একই সঙ্গে সংগঠনটি বলেছে, যদি রমজানের মধ্যে সকল ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীকে পুনর্বাসিত ও ক্ষতিপূরণ দেওয়া না হয়, তাহলে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিয়ে গণভবন ঘেরাও করা হবে।
আজ শনিবার (৮ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে সমমনা পেশাজীবী গণতান্ত্রিক জোটের উদ্যোগে অবস্থান কর্মসূচি থেকে এ দাবি জানানো হয়।
বিদ্যুৎ, তেল ও গ্যাসসহ সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ, দেশব্যাপী বিরোধীদলীয় ৩৬ লাখ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, সংসদ ভেঙে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন এবং ১০ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।
কর্মসূচিতে সভাপতির বক্তব্যে সমমনা পেশাজীবী গনতান্ত্রিক জোটের প্রধান সমন্বয়কারী ও বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমান বলেন, দেশের সর্বত্র আজ চরম অব্যবস্থাপনা ও নৈরাজ্য বিরাজ করছে। ফায়ার সার্ভিসের ব্যর্থতার ফলে বঙ্গবাজার পুড়ে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। কাছাকাছি অবস্থান সত্ত্বেও ১০ ঘণ্টায়ও ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। এই ব্যর্থতা সরকারের।
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আয়োজন, দেশব্যাপী বিরোধীদলীয় ৩৬ লাখ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং অবিলম্বে ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নেরও জোর দাবি জানান তিনি।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন জাতীয়তাবাদী নাগরিক দলের সভাপতি শাহজাদা সৈয়দ মোহাম্মদ ওমর ফারুক পীরসাহেব, জাতীয়তাবাদী আইন শিক্ষক পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু হানিফ, সংবিধান সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান ও আবজাল হোসাইন মৃধা, বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক কাউন্সিলের সভাপতি শেখ আলিম উল্লাহ আলিম ও সাধারণ সম্পাদক মো. তোফায়েল আহমেদ মজুমদার, বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টির সভাপতি অধ্যক্ষ মো. নজরুল ইসলাম, জাতীয়তাবাদী চালক দলের সভাপতি মো. শাহজাহান, বাংলাদেশ যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতি ওমর ফারুক সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক শরীফুল ইসলাম শরীফসহ জোটের অন্যান্য শীর্ষ নেতারা।