বঙ্গমাতার জন্মদিনে দুঃস্থ ও অসহায় নারীদের পাশে তিলোত্তমা
বাঙালি জাতির মহিয়সী নারী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯১তম জন্মদিনে দুঃস্থ ও অসহায় নারীদের মধ্যে শাড়ি বিতরণ করেছেন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তিলোত্তমা শিকদার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) প্রাঙ্গণে গতকাল রোববার বিকেলে অসহায় ছিন্নমূল নারীদের শাড়ি বিতরণ করেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে তিলোত্তমা শিকদার বলেন, “বাঙালি জাতির মহিয়সী নারীর নাম বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। স্বাধীনতার পর বীরাঙ্গনাদের উদ্দেশে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি তোমাদের মা।’ অনেক বীরাঙ্গনাকে নিজে উপস্থিত থেকে বিয়ে দিয়ে সামাজিক মর্যাদাসম্পন্ন জীবন দান করেন। বঙ্গমাতা সব সময় সহায়-সম্বলহীন মানুষের জন্য উৎসর্গিত ছিলেন। অসহায় নারীরা তাঁর কাছে পেত পরম আশ্রয়ের জায়গা।’
ছাত্রলীগের এ নেত্রী আরও বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার আত্মজীবনীতে লিখেছেন, ‘রেণু খুব কষ্ট করত, কিন্তু কিছুই বলত না। নিজে কষ্ট করে আমার জন্য টাকা-পয়সা জোগাড় করে রাখত, যাতে আমার কষ্ট না হয়।’
আর এক জায়গায় বঙ্গবন্ধু লিখেছেন, ‘সে তো নীরবে সকল কষ্ট সহ্য করে, কিন্তু কিছু বলে না। কিছু বলে না বা বলতে চায় না, সেই জন্য আমার আরও বেশি ব্যথা লাগে।’
তিলোত্তমা শিকদার বলেন, ‘বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মদিনে তাঁকে অনেকেই অনেকভাবে স্মরণ করেছেন। আমি সুবিধাবঞ্চিত, দুঃস্থ-সম্বলহীন নারীদের মাঝে নতুন কাপড় উপহার দিয়ে এবং তাদের সঙ্গে বঙ্গমাতার জীবনাচরণ নিয়ে গল্প করে তাঁকে স্মরণ করেছি। বঙ্গমাতা বেঁচে থাকবেন এদেশের স্বাধীনতার শেকড়ে, বঙ্গবন্ধুর প্রতিটি অর্জনে। তিনি বেঁচে থাকবেন প্রতিটি এগিয়ে যাওয়া নারীর অনুপ্রেরণায়।’
তিলোত্তমা শিকদার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুফিয়া কামাল হলের আবাসিক ছাত্রী। নতুন এই হলটির প্রতিষ্ঠাকালীন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তিলোত্তমা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সদস্য।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত বছর দেশে লকডাউন দেয় সরকার। এতে কর্মহীন হয়ে পড়ে দেশের অসংখ্য মানুষ। আর এর মধ্যেই শুরু হয় পবিত্র রমজান মাস। কোনোরকমে সেহেরি আর ইফতার করে রোজা রাখতে হয় অনেক মানুষকে। তাই সনাতন ধর্মাবলম্বী হয়েও এসব মানুষের জন্য বাসায় ইফতার বানিয়ে গোটা রমজানে নিজ এলাকা বরিশাল শহরের বিভিন্ন জায়গায় বিতরণ করেন তিলোত্তমা শিকদার।