বরগুনায় বিয়ের দাবিতে অনশন : সেই নারী সেফ হোমে
বাংলাদেশ/আইন ও বিচারবরগুনা বেতাগীতে গিয়ে বিয়ের দাবিতে যুবকের বাড়িতে অবস্থান নেওয়া সেই নারীকে সেফ হোমে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ শুক্রবার দুপুরে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক নাহিদ হোসেন এ আদেশ দেন। এর আগে সকালে বেতাগী উপজেলা চান্দখালী এলাকার শিক্ষার্থীর বাড়ি থেকে আদালতের নির্দেশে ওই নারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
সেফ হোমে পাঠানো ওই নারীর নাম শিখা আক্তার মৌ। তিনি জামালপুরের বাসিন্দা। স্বামীসহ তাঁর এক সন্তান আছে বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, প্রেমের সম্পর্ক দাবি করে চান্দখালী এলাকার মোশাররফ হোসেনের ছেলে মাহমুদ হাসানকে বিয়ের দাবিতে গত ২৮ এপ্রিল জামালপুর থেকে চান্দখালি এসে অনশন শুরু করেন মৌ। এমন বিব্রতকর পরিস্থিতিতে বাসা ছেড়ে পালিয়ে যান মোশাররফ হোসেন ও তাঁর ছেলে মাহমুদ হাসানসহ পরিবারের সবাই। এরপর স্থানীয়দের সহযোগিতায় ফাঁকা বাসার তালা ভেঙে ওই বাসায় বসবাস শুরু করেন মৌ।
এরপর মৌ এর একের পর এক বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নানা ধরনের সমালোচনা সৃষ্টি হয়। পরে নিরুপায় হয়ে গত ১০ মে বরগুনার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ ঘটনা থেকে পরিত্রাণ পেতে একটি অভিযোগ দায়ের করেন মোশাররফ হোসেন। পরে শুনানি শেষে আদালতের বিচার মাহবুব আলম ওই নারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বেতাগী থানাকে নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে মামলার আইনজীবী সাইমুল ইসলাম রাব্বি বলেন, ‘মেয়েটি বিবাহিত এবং তাঁর সন্তান আছে। এ ছাড়াও তাঁর স্বামীর সঙ্গে এখন পর্যন্ত ডিভোর্স হয়নি। এ বিষয়টি আমি আদালতের দৃষ্টিগোচর করেছিলাম। পরে আদালত ওই নারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন।’
এ বিষয়ে আদালতে অভিযোগকারী মোশাররফ হোসেন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ নিয়ে ওই মেয়ে আমার বাসার সামনে অনশন শুরু করে। এতে বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে বাসা তালাবদ্ধ করে আমি পরিবার নিয়ে এক স্বজনের বাসায় আশ্রয় নিই। এ সুযোগে ওই মেয়ে আমার বাসার তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে বসবাস শুরু করে। তাই আমি আদালতের আশ্রয় নিয়েছি।’
এ বিষয়ে বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম হাওলাদার এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে ওই নারীকে আমরা আটক করে আদালতে হাজির করি। পরে আদালত তাকে সেফ হোমে পাঠানোর নির্দেশ দেন।’