বরিশালের ঘটনা তুচ্ছ, ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে : মন্ত্রী
‘তুচ্ছ’ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বরিশাল সিটি করপোরেশন এবং সেখানকার প্রশাসনের মধ্যে যে ‘ভুল বোঝাবুঝি’র সৃষ্টি হয়েছে তা খুব শিগগিরই সমাধান হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
আজ রোববার নিজ দপ্তরে সাংবাদিকের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রাজনীতিবিদ ও সরকারি কর্মকর্তাসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছে। একইসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে কখনো কখনো ভুল বোঝাবুঝি হয়। আবার সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা নিরসনও হয়। বরিশালে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি ঘটেছে তা সমাধানের দিকে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে। আমি আশা করি, এটি খুব দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘প্রাপ্ত তথ্যমতে, সিটি করপোরেশনের লোকজন সেখানে কিছু অপ্রয়োজনীয় পোস্টার, বর্জ্য অপসারণ করার জন্য গেলে প্রশাসনের কর্মচারীদের সঙ্গে কিছু ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে স্থানীয় নেতারা ও সিটি করপোরেশনের মেয়র সেখানে সমস্যা মীমাংসা করতে যান।’
মন্ত্রী আরও বলেন, সেখানে অবশ্যই কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। যে কারণে ইউএনও হয়তো অসন্তুষ্ট হয়েছেন। আবার রাজনৈতিক নেতারা বলছেন, তারা মীমাংসা করার জন্য সেখানে গেছেন। সেখানে আসলে কী হয়েছিলো সেটি এখন সময়ের ব্যবধানে জানা যাবে। আমরা সবাই স্ব স্ব পদে দায়িত্বশীল, সবাই প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আস্থাশীল, সে কারণে আশা করি সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।’
সিটি করপোরেশন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীন হওয়ায় এ বিষয়ে কোনো তদন্ত করা হচ্ছে কি না- এমন প্রশ্নের উত্তরে তাজুল ইসলাম আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে যেহেতু মামলা হয়েছে, পুলিশ তদন্ত করবে। আমাদের পক্ষ থেকে যদি তদন্ত করার দরকার হয়, প্রয়োজনে অবশ্যই করা হবে।
মামলা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি, সংক্ষুদ্ধ কোনো ব্যক্তি প্রতিকার পাওয়ার জন্য মামলা করে থাকেন। মামলা করা হয় সমস্যা সমাধানের জন্য। তদন্তসাপেক্ষে কেউ যদি দোষী প্রমাণিত হয় তার বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মন্ত্রণালয় থেকে সিটি করপোরেশনকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, তারা তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম চলমান রেখেছে। সেখানে যেন কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় সে বিষয়ে সিটি করপোরেশনকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে এবং তারা তা পালন করছে। অন্যদিকে প্রশাসনের কর্মকর্তারাও শান্তিপূর্ণভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করছে।