বরিশালে আসামি ধরতে গিয়ে হামলার শিকার পুলিশ
বরিশালে হত্যা মামলার আসামিকে গ্রেপ্তারে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন বাকেরগঞ্জ থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) কৃষ্ণ কান্ত। গতকাল সোমবার রাতে ওই উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নে এই ঘটনা ঘটে। আহত কৃষ্ণ কান্ত বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এই ঘটনায় মনির হাওলাদার ও তাঁর স্ত্রী কুলসুম বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মনির ওই হত্যা মামলারও আসামি।
বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলাউদ্দিন মিলন জানান, গত মঙ্গলবার দিনগত রাত ১২টার দিকে ফরিদপুর ইউনিয়নের ইছাপুরা গ্রামে মামুন মেম্বার ওরফে হাতকাটা মামুন এবং রনি মোল্লার লোকজনের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় মামুনের সহযোগীরা রনি মোল্লা ও তাঁর দুই ভাইকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটে। পরে আহতদের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত সাড়ে ৩টার দিকে রনির মৃত্যু হয়।
আলাউদ্দিন মিলন জানান, ওই ঘটনায় হত্যা মামলার আসামি সাইফুল মৃধাকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় গতকাল সোমবার রাতে সর্শী তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ তারিক হাসান রাসেলের নেতৃত্বে সোনাপুর গ্রামে বিশেষ অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানে হত্যা মামলার ১৪ নম্বর আসামি মনির হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করতে গেলে মনিরের স্ত্রী কুলসুম বেগম হামলা চালান। তিনি ঘরে থাকা ধারাল বটি দিয়ে এএসআই কৃষ্ণ কান্ত মিত্রর মাথায় কোপ দিয়ে গুরুতর জখম করেন। একই সঙ্গে মনিরকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন।
মনিরের সহযোগীরা পুলিশের দিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এরপর আহত এএসআইকে বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠান।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বাকেরগঞ্জ সার্কেল) সুদীপ্ত সরকার জানান, আসামি ছিনিয়ে নিতেই মূলত মনিরের স্ত্রী পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এই ঘটনায় হত্যা মামলার আসামি মনির হাওলাদার ও তাঁর স্ত্রী কুলসুম বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।