বরিশালে যুবলীগের শোডাউন, বিএনপির আহ্বায়কের ওপর হামলা
১১ নভেম্বর বাংলাদেশ যুবলীগের ৫০ বছর পূর্তিতে সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব সফল করার লক্ষ্যে বরিশালে মোটরসাইকেল শোডাউন ও মিছিল করেছে যুবলীগের নেতাকর্মীরা। এসময় ৩০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক মীর সাদসহ নেতাকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আগামী শনিবার (৫ নভেম্বর) বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের তারিখ থাকায় হঠাৎ করে ক্ষমতাসীনদের এমন শোডাউন ও মিছিলের কারণে উত্তপ্ত হয়ে পরে নগরী। যুবলীগের শোডাউন থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন।
সোমবার সন্ধ্যার পর বরিশাল নগরীর ওয়ার্ড ও সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে পৃথক মিছিল ও শোডাউন করেন যুবলীগের নেতাকর্মীরা।
সন্ধ্যার পর পর কাশিপুর ইউনিয়নে মোটরসাইকেল নিয়ে শোডাউন বের করা হয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যারন ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন লিটন মোল্লার নেতৃত্বে। তারা পুরো ইউনিয়ন প্রদক্ষিণ করে। এসময় নেতাকর্মীরা ১১ নভেম্বর যুবলীগের মহাসমাবেশ সফল করার জন্যা নানা স্লোগান দেয়।
এছাড়াও নগরীর কবি জীবনানন্দ দাশ সড়কে মহানগর যুবলীগ নেতা শেখ আরাফাত জামান বাবুর নেতৃত্বে মিছিল বের করা হয়। পাশাপাশি বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক, অমৃতলাল দে সড়ক, কাউনিয়া, কালীবাড়ি রোড, ফকির বাড়ি রোড ও চকবাজার এলাকাসহ আরও বেশ কয়েকটি এলাকায় ঢাকায় যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তীর উৎসব সফল করার লক্ষ্যে মিছিল বের করে নেতাকর্মীরা।
বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম জাহাঙ্গীর হোসাইন বলেন, ১১ নভেম্বর বাংলাদেশ যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তী সফল করতে প্রস্তুতি হিসেবে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে যুবলীগের নেতাকর্মীরা মিছিল করেছে।
বরিশাল মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মীর জাহিদুল কবির জাহিদ বলেন, বরিশালে বিএনপির সমাবেশ বানচাল করতে এই শোডাউন দেওয়া হচ্ছে বরিশালে। সন্ধ্যার পর পর গড়িয়ারপার এলাকায় লিটন মোল্লার নেতৃত্বে শোডাউনে ৩০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক মীর সাদ সহ নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করা হয়েছে। এতে ১০ থেকে ১৫ জন আহত হয়েছে। যাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আওয়ামী লীগ তো কোনোভাবে আমাদের আটকাতে পারছে না, তাই হামলা করছে।
হামলার বিষয়ে জানতে কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও কাশিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন লিটন মোল্লা বলেন, হামলার কোনো ঘটনা ঘটেনি। আমি আমার গাড়ির মধ্যে ছিলাম। অসুস্থ থাকায় গাড়ি থেকেও বের হইনি। হামলার অভিযোগ বিএনপি নেতাদের পুরোপুরি চক্রান্ত ও স্ট্যান্ডবাজি।