বরিশালে শিক্ষক শচীন্দ্রনাথ রায়ের মরণোত্তর দেহদান
অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শচীন্দ্রনাথ রায়ের মরদেহ বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে হস্তান্তর করেছেন তাঁর সন্তানরা। গত মঙ্গলবার বার্ধক্যজনিত কারণে নগরীর কাউনিয়া ক্লাব রোডের বাসায় মারা যান তিনি। শচীন্দ্রনাথের শেষ ইচ্ছে অনুযায়ী মরণোত্তর দেহদান করলেন তাঁর সন্তানরা।
পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার বৌলাকান্দা বদরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক ছিলেন শচীন্দ্রনাথ রায়। মৃত্যুর পর ধর্মীয় ক্রিয়াদি শেষে গত বুধবার সকাল ১০টায় মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. মনিরুজ্জামান শাহিনের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয় বলে জানান তাঁর ছেলে সহকারী অধ্যাপক মানস কুমার রায়।
মানস বলেন, ‘আমার বাবা ছিলেন জাতি গড়ার কারিগর। আমৃত্যু তিনি নিঃস্বার্থভাবে মানবকল্যাণে কাজ করে গেছেন। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা বিনির্মাণে শিক্ষার্থীদের আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পাঠদান করেছেন। ঘরে ঘরে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে সদা সচেষ্ট ছিলেন। আমার বাবা মৃত্যুর পরেও চিকিৎসাশিক্ষায় নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে গেলেন।’
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘শচীন্দ্রনাথ রায়ের মরদেহ তাঁর পরিবারের সদস্যরা আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছেন। এই দেহ দিয়ে শিক্ষার্থীরা চিকিৎসাবিজ্ঞান অধ্যয়নে উপকৃত হবে।’