ক্লুলেস মামলার অল্প সময়ের মধ্যে রহস্য উদঘাটন করে আসামিদের গ্রেপ্তার করায় বরিশাল রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ কর্মকর্তা নির্বাচিত হয়েছেন উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মফিজুর রহমানকে। রেঞ্জের ডিআইডি এস এম আক্তারুজ্জামান আজ বুধবার সকালে অপরাধ পর্যালোচনা সভায় মফিজুর রহমানের হাতে ক্রেস্ট ও সনদপত্র তুলে দেন।

এসআই মফিজুর রহমান ঝালকাঠির নলছিটি থানায় কর্মরত। তাঁর এ সাফল্যে খুশি ঝালকাঠি জেলা পুলিশ। ক্রেস্ট ও সনদপত্র তুলে দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন ঝালকাঠির পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিন।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর তিমিরকাঠি এলাকার সোবাহান খলিফা নামে এক ব্যক্তিকে হত্যা করে তার অটোরিকশা ছিনতাই করে একটি চক্র। পরের দিন বরিশাল-খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে নলছিটি উপজেলার শ্রীরামপুর এলাকা থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির ছেলে বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে একটি মামলা করেন। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় নলছিটি থানার এসআই মো. মফিজুর রহমানকে। মাত্র আট দিনের মধ্যে ক্লুলেস মামলাটির রহস্য উদঘাটন করেন তিনি। পাশাপাশি এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত চক্রের তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

পরে মাদারীপুর জেলার শিবচর এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয় অটোরিকশাটি। আদালতের মাধ্যমে অটোরিকশাটি নিহত ব্যক্তির ছেলের কাছে বুঝিয়ে দেন এ পুলিশ কর্মকর্তা। অল্প সময়ের মধ্যে হত্যা মামলাটির রহস্য উদঘাটন করায় খুশি ঝালকাঠি জেলা পুলিশ।

এসআই মফিজুর রহমান বলেন, ‘সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করাই হচ্ছে পুলিশের কাজ। আমার কাছে অর্পিত দায়িত্ব আমি সঠিকভাবে পালন করে যাচ্ছি। এ জন্য আমাকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। আমি রেঞ্জ ডিআইজি স্যার, পুলিশ সুপার স্যার ও ওসি স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞ।’

নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, এসআই মফিজের সাফল্যে আমরাও খুশি। তাঁর এ কাজ দেখে অন্যরা উৎসাহিত হবেন বলে আমার বিশ্বাস।