বর্তমান সংবিধান দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় : রিজভী
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশের বর্তমান সংবিধান দিয়ে সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এজেন্ডা বাস্তবায়নে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজ করছেন। বিশেষজ্ঞরা বলেন- সংবিধান একটি জাতির আত্মজীবনী। কিন্তু বাংলাদেশের সংবিধান শেখ হাসিনার আত্মজীবনী।’
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে, নিরপেক্ষ নির্বাচন ও চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে আজ মঙ্গলবার এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘মানুষকে ভয় দেখিয়ে মানুষকে নিরুদ্দেশ করে আবারও নিশিরাতের ভোট ডাকাতির আয়োজন করা হচ্ছে। এ কারণে কাছের লোকদের দিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে সরকার। সে কমিশন প্রথম প্রথম বলছে সব রাজনৈতিক দল নির্বাচন করবে, আবার এখন বলছে সংবিধানের বাইরে যেতে পারবে না। আজকে যদি দেশে জবাবদিহিতা থাকত তাহলে অনেক কিছুই ঘটত না। জবাবদিহিতা না থাকায় দেশের মন্ত্রীরা কাণ্ডজ্ঞানহীন বক্তব্য রাখেন। জনগণ খেল কি বাঁচল- এতে তাদের কিছু যায়-আসে যায় না।’
রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, ‘অষ্টাদশ শতাব্দিতে যখন ফরাসি বিপ্লব চলছিল, তখন সেখানকার রাজার রানি ছিলেন হাছান মাহমুদের (আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী) মতো। নিজে বিত্ত-বিলাসের মধ্যে থাকলেও মানুষের পেটে ক্ষুধার আগুন নিয়ে রানির কোনো ভ্রুক্ষেপ ছিল না। রানি তো আরাম-আয়েশে ঝাড়বাতির নিচে থাকেন আর পোলাও-কোর্মা-রোস্ট খান। মানুষের মিছিল দেখে রানি কর্মচারীকে জিজ্ঞেস করেছিল, এটা কিসের শব্দ। কর্মচারী বলেন- ওরা রুটি খেতে না পেয়ে মিছিল করছে। উত্তরে রানি বলেছিলেন- রুটি না খেতে পারলে কেক খেতে বলো।’
রিজভী বলেন, ‘হাছান মাহমুদও এরকমই আচরণ করছেন। দেশের পরিস্থিতি চালে-ডাল নিত্যপণ্যের দাম কত, এটা উনারা জানেন না। কারণ তাদের জানার দরকার পড়ে না। তাদের তো প্রচুর টাকা।’