বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টায় চলচ্চিত্রে সুদিন ফিরেছে : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, আকাশ সংস্কৃতির প্রভাব, ভালো কাহিনী ও চিত্রনাট্যের অভাব, প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা না পাওয়াসহ নানা কারণে চলচ্চিত্র শিল্প সংকটে পড়েছিল। সরকারের নানামুখী উদ্যোগ ও প্রচেষ্টায় চলচ্চিত্র শিল্পে সুদিন ফিরেছে।
আজ শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে ৬৪ জেলার শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় সারা দেশে একযোগে ১৫ দিনব্যাপী ‘তৃতীয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, ‘বর্তমান সরকার চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অধীন এ শিল্পের উন্নয়নে এক হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন করা হয়েছে। তাছাড়া সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতি উপজেলায় যে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে তাতেও থাকছে আধুনিক সিনেপ্লেক্স।’
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘চলচ্চিত্র হলো শিল্পের এমন একটি মাধ্যম যেটি খুব দ্রুত মানুষকে প্রভাবিত করতে পারে। চলচ্চিত্র শিল্পের সংকট উত্তরণকালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত তৃতীয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব আয়োজন এক অসাধারণ পদক্ষেপ।’ প্রতিমন্ত্রী পক্ষকালব্যাপী এ উৎসবের সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করেন।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিশিষ্ট চলচ্চিত্র অভিনেতা ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও শিক্ষক হায়দার রিজভী এবং শামীম আখতার। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সচিব সালাহউদ্দিন আহাম্মদ।
উল্লেখ্য, তৃতীয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবে পাঁচটি ভিন্ন ক্যাটাগরিতে যথাক্রমে সমকালীন চলচ্চিত্র, নারী নির্মাতাদের চলচ্চিত্র, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র, ধ্রুপদী চলচ্চিত্র এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বা পুরস্কার প্রাপ্ত চলচ্চিত্রের মধ্য থেকে সিলেকশন কমিটি কর্তৃক বাছাইকৃত মোট ৩৬টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। এর মধ্যে ২৩টি সমকালীন চলচ্চিত্র ও ১৩টি অন্যান্য ক্যাটাগরির চলচ্চিত্র রয়েছে।