বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জে বন্যার আশঙ্কা
প্রথম দফা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের অনেক উপজেলার ফসলরক্ষা বাঁধ ভেঙে বোরো ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এতে নিঃস্ব হন হাজারো কৃষক। গত কয়েকদিনে টানা বর্ষণে ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে এবার দেখা দিয়েছে বন্যার শঙ্কা। এরই মধ্যে সব কয়টি নদ-নদী ও হাওরের পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, বলছে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড।
এদিকে, স্রোতের গতি বেশি থাকায় নদীর পাড় ও খালের তীরবর্তী বসতবাড়ি ভাঙনের কবলে পড়েছে। সুনামগঞ্জের করচার হাওর এলাকার ২৬ গ্রামের কৃষকের পাকা ধান ঢলের পানিতে ডুবে গেছে। এরই মধ্যে ১৫টি বসতবাড়ি ভেসে গেছে।
গত শুক্রবার বিকেলে গজারিয়া রাবারড্যামের পাশের সড়কের দুটি অংশ ভেঙে এই বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। এরপর আজ শনিবার বেলা ১১টায় বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদি উর রহিম জাদিদ বসতভিটা হারানো পরিবারসহ ৫০ পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন।
এদিকে, ভারি বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় বোরো ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষক। দিনের অধিকাংশ সময় আকাশ মেঘে ঢাকা থাকায় রোদের অভাবে ধান শুকাতে পারছেন না তাঁরা। ফলে কেটে আনা ধান পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে জানান কৃষকরা।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, এ জেলাসহ আশেপাশের জেলা ও ভারতের মেঘালয়ে ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় হাওর ও নদীর পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে বন্যার শঙ্কা আছে। এভাবে আরও দু’একদিন চললে বন্যা দেখা দেবে বলে আশঙ্কার কথা জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে জানান, সিলেট এলাকায় এটি স্বাভাবিক বৃষ্টি। সেই সঙ্গে ভারতের মেঘালয়ে বৃষ্টিপাত বেশি হওয়ায় সুনামগঞ্জে নদ-নদীর পানি বাড়ছে। যদিও এই বৃষ্টি আরও পরে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, বছরের এই সময়ে শুরু হয়েছে।