বসবাসযোগ্য ঢাকার জন্য নাগরিকদের সচেতনতা জরুরি : স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, পরিকল্পিত ঢাকা শহরের জন্য সবার দায়িত্ববোধ ও সচেতনতা জরুরি। সে জন্য নীতি নির্ধারক, নগর পরিকল্পনাবিদসহ সমাজের সবার নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) আজ সোমবার (২০ মার্চ) ‘ঢাকা নগরীর সবুজ এলাকা এবং এর রাজনৈতিক অর্থনীতি’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে যেকোনো পরিকল্পনা বা জননীতি বাস্তবায়ন করতে গেলে যখনই তা কারো স্বার্থের বিরুদ্ধে যায় তখন সেই পরিকল্পনার বিপক্ষে তিনি অবস্থান নেন। এই ধরনের মানসিকতা কমিউনিটির সবার মঙ্গলের জন্য পরিহার করতে হবে।’
এ সময় মন্ত্রী ঢাকা ডিটেইলস এরিয়া প্ল্যান বা ড্যাপের কথা উল্লেখ করে জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একজন কর্মী হিসেবে তিনি প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া দায়িত্ব পালন করেছেন সর্বোচ্চ পরিশ্রম ও আন্তরিকতা দিয়ে।
ড্যাপ প্রণয়নের ক্ষেত্রে বসবাসের স্থান, খোলা জায়গা, খেলার মাঠ, সবুজ ও জলজ এলাকা থেকে শুরু করে অন্যান্য নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘ভালো পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে সাংবাদিক ও নাগরিক সমাজসহ সবার এগিয়ে আসতে হবে। ঢাকার ভিতরে জনসংখ্যা কত হবে, তাদের জন্য কি কি নাগরিক সুবিধা প্রয়োজন তা আমাদের চিন্তা করতে হবে।’
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘যেখানে পাঁচ হাজার লোকের নাগরিক সুবিধার ব্যবস্থা করা আছে সেখানে যদি বিশ হাজার লোক বসবাস করে তাহলে কীভাবে বসবাসযোগ্যতা বজায় থাকবে। এই বিষয়গুলো আমাদের বিবেচনায় নিতে হবে।
ঢাকা পৃথিবীর সবচেয়ে জনবহুল শহর হওয়ায় এই শহরের ওপর চাপ কমাতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঢাকাকে পৃথিবীর আর কোনো শহরের সাথে তুলনা করার সুযোগ নেই। প্রতিদিন যে পরিমাণ মানুষ ঢাকায় ঢুকছে তাতে খোলা জায়গা, খেলার মাঠ বা সবুজ এলাকা রক্ষা আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
এ সময় মন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব বাংলাদেশের উপর পড়ছে জানিয়ে বলেন, উন্নত বিশ্ব প্রতিশ্রুত আর্থিক অনুদান ছাড় না করার কারণে বাংলাদেশ কাঙ্খিত লক্ষ্যমাত্রায় যেতে পারছে না। মন্ত্রী রাজধানীর খালগুলো ওয়াসা থেকে সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা প্রসঙ্গে বলেন, জলাবদ্ধতা দূর করার জন্য তাঁর মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগের ফলে রাজধানীবাসী আগের তুলনায় অনেক স্বস্তিতে আছেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমরা যার যার দায়িত্ব পালন করলে দেশ ও সমাজ এগিয়ে যাবে। নিজের বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ থেকে কাজ করলে জাতির পিতার সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হবে। সকলের অংশগ্রহণের মাধ্যমেই আমরা একটি সুন্দর সমাজ বিনির্মাণ করতে পারব।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বুয়েটের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল জব্বার খাঁন, ইউএসএইড বাংলাদেশের অফিস অব ইকোনোমিক গ্রোথের পরিচালক মোহাম্মদ এন খান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্যপ্রসাদ মজুমদার।