বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা সমাজ ও রাষ্ট্রের চোখ খুলে দেয় : খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘সাংবাদিকেরা জাতির বিবেক। সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা দেশকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করে এবং সমাজ ও রাষ্ট্রের চোখ খুলে দেয়।’
নওগাঁয় কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) মিলনায়তনে আজ শুক্রবার সকালে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) আয়োজিত তিন দিনব্যাপী সাংবাদিকতায় অনুসন্ধানমূলক রিপোর্টিং প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী।
এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, ‘সাংবাদিকদের মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকবে। সেটা হলো—কে আগে তথ্য পাবে, কে আগে সংবাদ প্রকাশ করবে সেটা নিয়ে।’ উন্নয়নমূলক সংবাদ প্রচার, অর্থাৎ ব্র্যান্ডিং করে নওগাঁকে সামনে এগিয়ে নিতে সাংবাদিকেরা ভূমিকা রাখবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার আরও বলেন, ‘করোনাকালে সাংবাদিকেরা সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে কাজ করেছেন। মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে উদ্বুদ্ধ করেছেন, যা সত্যিকার অর্থে প্রসংশার দাবি রাখে।’
মাদকের বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবীদের পক্ষে কেউ সুপারিশ করতে এলে সেই মামলার চার্জশিটে সেই ব্যক্তির নাম ঢুকিয়ে দেবেন, সে যে দলেরই লোক হোক না কেন।’
এ সময় নওগাঁর জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. হারুন-অর-রশীদ, পিআইবির পরিচালক (প্রশাসন) আফরাজুর রহমান, পিআইবির সমন্বয়কারী পারভীন সুলতানা রাব্বী, নওগাঁ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ ওহিদুল ইসলাম ও সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন বক্তব্য দেন।
পরে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার ৩৫ জন প্রশিক্ষণার্থীর হাতে তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত সাংবাদিকতায় অনুসন্ধানমূলক রিপোর্টিং প্রশিক্ষণের সনদপত্র তুলে দেন।