বাংলাদেশ থেকে আরও শ্রমিক নেওয়ার আগ্রহ ব্রুনাইয়ের
বন্দর সেরি বেগাওয়ানে বাংলাদেশ ও ব্রুনাই দারুসসালামের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা হয়েছে। ব্রুনাইয়ে আরও বাংলাদেশি কর্মী পাঠানোর প্রস্তাব দেওয়া হলে ব্রুনাই তাদের আসন্ন মেগা প্রকল্পগুলোতে আরও বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং ব্রুনাই দারুসসালামের স্থায়ী সচিব পেঙ্গিরান নরহাশিমাহ বিন্তি পেঙ্গিরান মোহাম্মদ হাসান নিজ নিজ দেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন। বাংলাদেশ হাইকমিশনার নাহিদা রহমানও আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন। বুধবার পররাষ্ট্র মন্তণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আলোচনায় বাংলাদেশ-ব্রুনাই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের পুরো স্পেকট্রাম অভিবাসন, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, কৃষি, জলাশয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, স্বাস্থ্য, সংযোগ, প্রতিরক্ষা, জ্বালানি, শিক্ষা, সংস্কৃতি, যুব খাতে সহযোগিতার বিষয় স্থান পায়। উভয় পক্ষই বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পৃক্ততার স্তরে সন্তোষ প্রকাশ করে এবং আগামী দিনে পারস্পরিক সুবিধার জন্য পারস্পরিক সহযোগিতাকে আরও সম্প্রসারিত করার অব্যাহত প্রচেষ্টার জন্য তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে। ব্রুনাইয়ের স্থায়ী সচিব বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার সফল যোগ্যতার জন্য বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানান।
উভয় পক্ষই উভয় দেশে বাংলাদেশী অভিবাসী শ্রমিকদের মূল্যবান অবদানের কথা স্বীকার করে। ব্রুনাইয়ে বাংলাদেশি মানবসম্পদ নিয়োগের প্রস্তাবিত সমঝোতা স্মারকে শিগগিরই স্বাক্ষর করার আশাবাদ ব্যক্ত করে পররাষ্ট্র সচিব নিরাপদ, সুশৃঙ্খল এবং নিয়মিত অভিবাসনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। বাংলাদেশ বর্তমানে যে উচ্চ জনসংখ্যাগত লভ্যাংশ ভোগ করছে, তা উল্লেখ করে পররাষ্ট্র সচিব দুই দেশের পারস্পরিক সুবিধার জন্য ব্রুনাইয়ে আরও বাংলাদেশি কর্মী পাঠানোর প্রস্তাব দেন।
উভয় পক্ষই খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, আইসিটি, জাহাজ নির্মাণ, পর্যটন, অবকাঠামো উন্নয়ন, ওষুধ ও পাটজাত পণ্য ইত্যাদি ক্ষেত্রে সহযোগিতার সম্ভাবনা আরও অন্বেষণে সম্মত হয়। বাংলাদেশের হালাল বাণিজ্য খাতের উন্নয়ন ও প্রচারের জন্য বাংলাদেশ ব্রুনাইয়ের সমর্থন চেয়েছে।
পররাষ্ট্র সচিব রোহিঙ্গা সংকটের কথা তুলে ধরেছেন এবং জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের তাদের মাতৃভূমিতে দ্রুত প্রত্যাবাসনের জন্য ব্রুনাইয়ের আরও সক্রিয় সমর্থন চেয়েছেন। ব্রুনাই পক্ষ এ বিষয়ে সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।
এ ছাড়া ব্রুনাই আসিয়ান সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনারশিপে বাংলাদেশের প্রার্থিতার পক্ষে তাদের সমর্থনেরও আশ্বাস দিয়েছে।