বাংলাদেশ-ভারতের কানেক্টিভিটি বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বাংলাদেশ সফররত ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী উভয় দেশের পারস্পরিক সুবিধার জন্য কানেক্টিভিটি আরও বাড়ানোর উপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আজ বৃহস্পতিবার এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠান শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
সাক্ষাতকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ১৯৬৫ সালে বন্ধ হয়ে যাওয়া বিভিন্ন আন্তঃসীমান্ত রুট পুনরায় চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এসময় পারস্পরিক সুবিধার জন্য দুই দেশের মধ্যে কানেক্টিভিটি আরও বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের কানেক্টিভিটি বাড়াতে হবে। কানেক্টিভিটি বাড়ালে ভারতের উত্তর-পূর্ব প্রদেশ আসাম ও ত্রিপুরা আমাদের চট্টগ্রাম বন্দরে প্রবেশ করতে পারবে। এতে আমরা উভয় দেশই লাভবান হবো।
এর আগে দুপুর সোয়া ২টার দিকে ভারতীয় বিমান বাহিনীর একটি বিশেষ ফ্লাইটে রাজধানীর কুর্মিটোলায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনী (বিএএফ) বঙ্গবন্ধু ঘাঁটিতে পৌঁছান ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সেখানে তাঁকে স্বাগত জানান বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
এর আগে ২০২১ সালের মার্চ মাসে জয়শঙ্কর সর্বশেষ বাংলাদেশ সফর করেছিলেন।
গতকাল বুধবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছিলেন, ‘ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস. জয়শঙ্কর সুখবর নিয়ে আসতে পারেন। তিনি আসছেন এটা ভালো খবর। হতে পারে তিনি সুখবর নিয়ে আসবেন এবং আমরা এখনও জানি না যে, সে খবরটি ঠিক কী।’
ড. মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক খুবই মধুর এবং এতে তারা খুবই খুশি। আমরা সবসময় তাঁকে (জয়শঙ্কর) স্বাগত জানাই। তিনি আমাদের সারপ্রাইজ দেবেন।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন দিল্লি সফরের জন্য জয়শঙ্কর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পক্ষে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ নিয়ে এসেছেন। প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি সফরটি সম্ভবত জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে হতে পারে।
শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে মোদি বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর উদ্যাপনে যোগ দিতে ২০২১ সালের ২৬ থেকে ২৭ মার্চ বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় সফর করেন।