বাংলাদেশ-ভিয়েতনাম অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পারস্পরিক স্বার্থে বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত পাম ভিয়েত চিয়েন আজ বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে বিদায়ী সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি একথা বলেন।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে তারা দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেছেন। তাঁরা বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বৃদ্ধিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যে স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম এবং বিজয়র অর্জনের মতো বেশকিছু ক্ষেত্রে অভিন্ন মিল রয়েছে।’
ভিয়েতনামের স্বাধীনতার সংগ্রামের প্রতি এদেশের জনগণের প্রশংসার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অতীতে পাকিস্তানি জান্তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষের স্বাধীনতা যুদ্ধের স্লোগান ছিল বাংলা হবে ভিয়েতনাম’।
কৃষিখাতের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। এ দেশের জনসংখ্যা বিপুল। তাই আমরা কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে গবেষকদের নিয়োজিত রেখেছি।’
প্রধানমন্ত্রী দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর মধ্যে কানেকটিভিটির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
শেখ হাসিনা সফলভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য ভিয়েতনামের বিদায়ী দূতকে ধন্যবাদ এবং তার দেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে সফলতার প্রতি অভিনন্দন জানান।
ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত পাম ভিয়েত চিয়েন নিজেকে ‘বাংলদেশের বন্ধু’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ভিয়েতনামের সরকার ও কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সম্পর্ক রয়েছে।
ভিয়েতনামী নেতার পক্ষে রাষ্ট্রদূত দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীকে ভিয়েতনাম সফরের আমন্ত্রণ জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যে ১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে। ভিয়েতনামে বাংলাদেশের রপ্তানি ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব উন্নতি লাভ করেছে। তৈরি পোশাক খাতে উভয় দেশ সহযোগিতা আরও জোরদার করতে পারে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।