বাংলাবাজার থেকে ফেরিতে পণ্যবাহী ট্রাকের চাপ
বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে গত তিন দিনের তুলনায় আজ মঙ্গলবার যাত্রীদের চাপ কমেছে। তবে লঞ্চ বন্ধ থাকায় ফেরিতে কিছুটা হলেও যাত্রীদের চাপ রয়েছে। এতে দুর্ভোগ কমেনি রাজধানীমুখী যাত্রীদের। যাত্রীরা বিধিনিষেধের মধ্যেও ফেরির পাশাপাশি লঞ্চ চালু রাখার দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া উভয়ঘাটে পণ্যবাহী ট্রাকের চাপ রয়েছে। দুই ঘাটে প্রায় তিন শতাধিক ট্রাক রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, পোশাক কারখানাসহ রপ্তানিমুখী কলকারখানা খোলার ঘোষণায় গত তিন দিনে ফেরি ও লঞ্চে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার যাত্রীদের স্রোত নামে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ঘাটে। দুর্ভোগ মাথায় নিয়ে পদ্মা নদী পার হয় যাত্রীরা। পরে উভয়ঘাটে প্রশাসনের তৎপরতায় পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে, নৌযানগুলোতে যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায়নি।
এদিকে, পদ্মায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় স্রোতের গতিও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে ফেরি পারাপারে দীর্ঘ সময় লাগছে। বরিশাল, পটুয়াখালী, খুলনা, ফরিদপুর, মাদারীপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলো থেকে ঘাটে আসছে যাত্রীরা। বেশিরভাগ মানুষই স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। উভয়ঘাটে যানবাহনের চাপ রয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহণ করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) বাংলাবাজার ঘাটের সহকারী কর্মকর্তা ব্যবস্থাপক ভজন কুমার সাহা জানান, বর্তমানে এই রুটে ১০টি ফেরি চলছে। রো রো ফেরি বন্ধ রাখা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পেলে পরবর্তী সময়ে সেগুলো চালানো হবে। এখন অগ্রাধিকারভিত্তিতে অ্যাম্বুলেন্স, লাশবাহী পরিবহণ, পচনশীল দ্রব্যের ট্রাক পারাপার করা হচ্ছে।