বাংলাবাজার ফেরিঘাটে যাত্রীর চাপ, অ্যাম্বুলেন্স পারাপারেও দেরি
বাংলাবাজার ঘাট হয়ে কর্মস্থলে ফেরা যাত্রীর চাপ বেড়েছে। যাত্রীদের চাপে ফেরিতে অ্যাম্বুলেন্স উঠতেও দীর্ঘ সময় লাগছে। আজ বৃহস্পতিবার ফেরিঘাট ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।
ফেরিঘাটে দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অতিরিক্ত গাদাগাদি এড়াতে নজরদারি ও মাইকিং করতে দেখা গেছে। প্রচণ্ড গরমে আজও কয়েকজন যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে ফায়ার সার্ভিস ও নৌপুলিশ সদস্যরা তাদের উদ্ধার করেন। স্বাস্থ্যকর্মীরা তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছেন।
এদিকে যাত্রীরা কয়েকগুণ বেশি ভাড়া গুনে মোটরসাইকেল, ইজিবাইক, ট্রাক, পিকআপসহ বিভিন্ন যানবাহনে চরম ঝুঁকি নিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রা করছেন।
অন্যান্য বছর ঈদে যাত্রীদের চাপ বাড়লেও তারা লঞ্চ, স্পিডবোট আর ফেরিতে পার হতো পদ্মা নদী। কিন্তু এবার করোনা রোধে লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ থাকায় পুরো দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যাত্রীদের একমাত্র ভরসা বাংলাবাজার-শিমুলিয়া আর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট। তাই যাত্রীদের ক্ষোভ তীব্র আকার ধারণ করেছে। যাত্রীরা লঞ্চ ও স্পিডবোট চালু করার দাবি জানিয়েছে। আর সদরঘাট টু বরিশাল রুটের যাত্রীবাহী সব ধরনের লঞ্চ বন্ধ থাকায় দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা এই দুই নৌপথ ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছে। ফলে অন্য বছরের তুলনায় চাপ বহুগুণ বেড়েছে বলে ঘাট সংশ্লিষ্টদের অভিমত।
বরিশাল থেকে আসা শান্তা ইসলাম নামের এক কর্মজীবী নারী বলেন, আমরা অনেক কষ্ট করে ঘাটে এসেছি। অনেক টাকা ভাড়া দিয়ে ঘাটে আসতে হয়েছে। সরকার যদি গণপরিবহণ চালু রাখত, তাহলে অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হতো না।
বাংলাবাজার ঘাটের পুলিশের পরিদর্শক মো. আশিকুর রহমান বলেন, ঘাটে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। তারা তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছে। ঘাটে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা রয়েছে। আমরা যাত্রীদের হুড়াহুড়ি করে ফেরিতে উঠতে নিষেধ করছি। আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে, মাস্ক পরে যাত্রীদের চলাচল করতে উদ্বুদ্ধ করছি। অ্যাম্বুলেন্স, লাশবাহী গাড়িসহ জরুরি সেবার গাড়িগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপারের ব্যবস্থা করছি।