বাগেরহাটের মেয়র, সচিবসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে দুদকের দুই মামলা
বাগেরহাট পৌরসভায় মেয়র খান হাবিবুর রহমানসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে প্রায় আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের দায়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সম্মিলিত জেলা কার্যালয়ে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এই মামলা কথা নিশ্চিত করেছেন দুদকের উপপরিচালক নামজুল হাসান।
লোক নিয়োগ এবং আবাহনী ক্রীড়া কমপ্লেক্স ও ডাইবেটিস হাসপাতাল নির্মাণ না করে এই টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে মামলা দুটিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
দুদকের সহকারী পরিচালক তরুণ কান্তি ঘোষ বাদী হয়ে করা একটি মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, কোনোরকম নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি না দিয়ে এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নিয়োগবিধি না মেনে পাম্প অপারেটর হিসেবে দিপু দাসকেসহ মোট ১৭ জনকে নিয়োগে দেওয়া হয়। ৩ মার্চ ২০১৭ থেকে ২৫ জুলাই ২০২০ পর্যন্ত মোট এক কোটি ২৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়। এই মামলায় প্রধান আসামি বাগেরহাটের পৌর মেয়র খান হাবিবুর রহমান। মোট ১৭ জনের নামে এ মামলাটি করা হয়। এই মামলায় অন্য আসামিরা হলেন দিপু দাস (পাম্প অপারেটর), আসাদুজ্জামান (বাজার শাখার কর আদায়কারী), জ্যোতি দেবনাথ (সহকারী লাইসেন্স পরিদর্শক), মারুফ বিল্লাহ (সহকারী কর আদায়কারী), শহিদুল ইসলাম (সহকারী কর আদায়কারী), শরমিন আক্তার বনানী (বিল ক্লার্ক), হাসান মাঝি (ট্রাকচালক), হাসনা আক্তার (সুইপার সুপারভাইজার), মো. জিলানী (সুইপার সুপারভাইজার), তানিয়া (এমএলএসএস), অর্পূব কুমার রায় (পাম্প চালক), মেহেদী হাসান (সহকারী পাম্প চালক), সৌদি করিম (সহকারী কর আদায়কারী), পারভিন আক্তার (সহকারী কর আদায়কারী), সাব্বির মাহমুদ (কর আদায়কারী) ও সেতু পাল (সহকারী হেলপার)। এরা সবাই পৌর সভার সাবেক কর্মী ছিলেন।
একই বাদী অপর মামলায় বাগেরহাট পৌর মেয়র খান হাবিবুর রহমানসহ দুজনের নামে এক কোটি টাকা প্রকল্পের কাজ না করেই আত্মসাৎ করার দায়ে আরেকটি মামলা করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, বাগেরহাট ডায়াবেটিস হাসপাতাল এবং আবাহনী ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণ বাবদ দুই কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। পৌর মেয়র এই নির্মাণকাজ না করেই এই দুই কোটি টাকা থেকে এক কোটি টাকা উঠিয়ে নিয়ে আত্মসাৎ করেন। এই মামলায় পৌর মেয়র খান হবিবুর রহমান এবং পৌরসভার সাবেক সচিব বর্তমানে মাগুরা পৌরসভার সচিব মো. রেজাউল করিমকে আসামি করা হয়।