বাঘের থাবায় আহত হরিণকে ধরে চিকিৎসার পর ছেড়ে দিল বন বিভাগ
সুন্দরবনের বাঘের থাবায় ক্ষতস্থানে পোকা ধরা একটি বার্কিং ডিয়ারকে (মায়াবী হরিণ) উদ্ধারের পর চিকিৎসা দিয়ে পুনরায় বনে ছেড়ে দিয়েছে বন বিভাগ। আজ সোমবার সকালে বনের ঘাগড়ামারী ফরেস্ট অফিস সংলগ্ন লোকালয় থেকে হরিণটি উদ্ধার করে করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে। এরপর সেখানে হরিণটিকে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে তোলেন বন কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির।
পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির জানান, আজ সকাল ৮টার দিকে বনের ঘাগড়ামারী ফরেস্ট অফিস সংলগ্ন ঢাংমারী খাল পাড়ি দিয়ে লোকালয়ের খেজুরিয়া গ্রামে চলে আসে একটি মায়াবী হরিণ। পরে স্থানীয়রা বনবিভাগকে খবর দেওয়ার পর তারা সেখান থেকে সকাল ৯টার দিকে ভিটিআরটি ও স্থানীয়দের সহায়তায় হরিণটি উদ্ধার করেন। পরে সেটিকে করমজলে এনে চিকিৎসা দেন তারা।
আজাদ কবির বলেন, ‘তিন থেকে চার দিন আগে হরিণটি বাঘের আক্রমণের শিকার হন। এরপর হরিণের ক্ষতস্থানে পোকা লাগে। পোকার যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরেই মূলত অস্থির হয়ে ছুটাছুটি করে বন ছেড়ে খাল পেরিয়ে লোকালয়ে চলে যায় অসুস্থ এ হরিণটি। হরিণের বাম কানের উপরে মাথায় ও কানের নিচে ঘাড়ের উপর বাঘের নখের থাবার ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। ক্ষতস্থানের পোকা পরিষ্কার ও ওষুধ খাইয়ে এবং লাগিয়ে দিয়ে সুস্থ করে হরিণটিকে আজ বেলা ১১টার দিকে বনের করমজল এলাকায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’
এ সময় করমজলের কর্মকর্তা মো. হাওলাদার আজাদ কবির, ঢাংমারী স্টেশন কর্মকর্তা মো. সামানুল কাদিরসহ ঢাংমারী ও ঘাগড়ামারী অফিসের বন প্রহরীরা উপস্থিত ছিলেন।