বাঙালি জাতির জন্য বঙ্গবন্ধুর ভালোবাসা ছিল নিঃস্বার্থ : মেয়র তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, বাঙালি জাতির জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভালোবাসা নিঃস্বার্থ ছিল। তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধু তাঁর আত্মজীবনীতে লিখে গিয়েছেন, ‘মানবসভ্যতার সব কিছুর সঙ্গেই আমি সম্পৃক্ত। কিন্তু বাঙালির সব বিষয় আমাকে ভাবায়। বাঙালির প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসাই হলো আমার জীবন ও রাজনীতির উৎস।’ বাঙালি জাতির প্রতি তাঁর এই অকৃত্রিম ভালোবাসা কোনো কিছুর বিনিময়ে নয়। এই ভালোবাসা ছিল নিঃস্বার্থ।”
গতকাল শুক্রবার (১৭ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর গেন্ডারিয়ার জহির রায়হান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এসব কথা বলেন।
আত্মত্যাগে বলিয়ান হয়েই বঙ্গবন্ধু আমাদেরকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন উল্লেখ করে মেয়র তাপস বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বাঙালিকে ভালোবেসে গেছেন এবং এর জন্য তিনি ত্যাগ স্বীকার করে গেছেন। আর তার সেই ভালোবাসাকে প্রকাশের জন্য তিনি অকৃত্রিম-অপূরণীয় আত্মত্যাগকে বেছে নিয়েছিলেন। তিনি কোনো সময় আত্মত্যাগ করতে দ্বিধা বোধ করেননি, সংকোচ করেননি। এই আত্মত্যাগে বারবার তাঁর অসীম সাহসিকতা প্রস্ফুটিত হয়েছে। অষ্টম শ্রেণির ছাত্র থাকা অবস্থায় তিনি ছাত্রদের অধিকার আদায়ে বিদ্যালয় ভবন সংস্কারে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রীর পথ রোধ করেছিলেন। এ রকম বহু নজির তিনি বারবার স্থাপন করেছেন। বাঙালির অধিকার আদায়ে কারাগারে যেতেও তিনি কোনো সময় ভয় পাননি। এভাবে তিনি তাঁর অসীম সাহসিকতা ও গভীর আত্মত্যাগে বলিয়ান হয়েই আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন।’
করপোরেশনের সমাজকল্যাণ ও কমিউনিটি সেন্টারবিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সারোয়ার হাসান আলোর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফি, সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, করপোরেশনের মেয়র প্যানেলের সদস্য-১ ও ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. শহিদ উল্লাহ মিনু বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তাঁর পরিবারের শাহাদাতবরণকারী সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। পরবর্তীতে জাতির পিতার ১০৩তম জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটা হয়। সবশেষে করপোরেশনের সংগীত শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষার্থী ও প্রশিক্ষণার্থীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।