বাজেটে লাভ হচ্ছে টাকা পাচারকারীদের : নজরুল ইসলাম খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, বাজেটে লাভ হচ্ছে যারা টাকা পাচার করেছে, দুর্নীতি করেছে তাদের। প্রতিনিয়তই জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। আপনি যদি নির্দিষ্ট আয়ের মানুষ হন, আপনি গত মাসে আপনার আয় দিয়ে যা কিনতে পেরেছেন, এই মাসে কি তা কিনতে পারছেন? আগামী মাসে তো তাও কিনতে পারবেন না। বাজেটে আবার নতুন করে দাম বাড়াচ্ছে। কিন্তু লাভ হচ্ছে কার? যারা টাকা পাচার করছে, আমার আপনার টাকা লুট করছে তাদের।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আজ রোববার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁতীদল আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, প্রবাসীদের কষ্টের টাকা পাচার করে কানাডায় বাড়ি বানাচ্ছে, মালয়েশিয়া বাড়ি বানাচ্ছে, সুইচ ব্যাংকে টাকা জমাচ্ছে। তারা কিছু টাকা ট্যাক্স দিয়ে ওই টাকা দেশে ফেরত নিয়ে আসতে পারবে। সবাই বলছে এটা একটা অন্যায় সিদ্ধান্ত, এটা প্রচলিত আইনের বিরুদ্ধে, আমাদের সংবিধানের বিরুদ্ধে, ন্যায়-নীতির বিরুদ্ধে। কারণ আমাদের দেশের আইন বলে, কেউ যদি টাকা পাচার করে তাহলে তার সব টাকা বাজেয়াপ্ত করে, ডাবল ফাইন করতে হবে এবং ১৪ বছরের জেল হবে। এখন আপনি বলছেন কিচ্ছু হবে না, ১০ শতাংশ জমা দিবেন বাংলাদেশের অ্যাকাউন্টে, আর ওই টাকা হালাল। কেউ জিজ্ঞাসাও করবে না। তাহলে এই সরকার কার? যারা টাকা চুরি করছে তাদের সরকার।
তিনি আরও বলেন, ‘এই সরকার উন্নয়ন করেছে, রিপোর্ট আসছে ১৩ হাজার লোক কোটিপটি হচ্ছে। আর কোটি কোটি লোক দরিদ্রসীমার নিচে চলে গেছে। এখন যদি উন্নয়ন হয়েছে বলেন, তাহলে কার উন্নয়নের কথা বলতেছেন, তাহলে ওই ১৩ হাজার লোকের। তাহলে আপনি তাদের সরকার। আপনি যদি আমাদের সরকার হন, যাদের আয় কমে গেছে জিনিসপত্রের দাম বাড়ার কারণে। তাঁদের তো বলবেন না উন্নয়ন হয়েছে। আমাদের লোকদের কষ্ট বাড়ছে। কিন্তু আপনার আমার দিকে নজর নাই, আপনার নজর কোটিপতির দিকে। আপনি বলতেছেন অনেক উন্নয়ন হচ্ছে।
বেগম খালেদা জিয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, তিনবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। দুইবার বিরোধীদলের নেত্রী হয়েছেন। তিনি এখন কোথায়? জেলখানায়। ৭৬ বছর বয়স। দারুণ অসুস্থ। গতকালও তাঁর হার্টে অপারেশন করা হয়েছে। ডাক্তাররা বলেছেন, অ্যাডভান্স মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যাওয়ার জন্য। যেখানে উন্নত চিকিৎসা হয়। আমরা (ডাক্তারা) যেটা করছি, সেটা হচ্ছে মেন্টেনেস। যখন যে প্রব্লেম হচ্ছে সেটা দেখছি। কিন্তু তাঁর চিকিৎসার জন্য তাঁকে এখন উন্নত মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যেতে হবে। সেই মানুষটাকে কারাগারে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। এখন আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এই অনির্বাচিত সরকার যত দিন থাকবে, ততদিন কেউ ন্যায়বিচার পাবে না।
এসময় জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।