বান্দরবানের ৪ উপজেলায় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা বাড়ল
বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি, আলীকদম ও থানচি উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আগামী ৪ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। যৌথ বাহিনীর জঙ্গি ও সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের কারণে এই নিষেধাজ্ঞা বাড়ানো হলো। আজ রোববার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি জানানো হয়।
নিরাপত্তা বাহিনী ও প্রশাসনসূত্রে জানা যায়, বান্দরবান জেলার রুমা, রোয়াংছড়ি, থানচি ও আলীকদম উপজেলার সীমান্তবর্তী পাহাড়ি এলাকাগুলোতে যৌথ বাহিনীর জঙ্গি ও সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। সাঁড়াশি অভিযানের নিরাপত্তা বিবেচনায় পর্যটকদের ভ্রমণে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। তারমধ্যে রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা চলমান রয়েছে।
অপরদিকে রুমা ও থানচি উপজেলায় গত ২৩ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। আজ সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা আগামী ৪ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বান্দরবান জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের বেঞ্চ সহকারী সুমন পাল বলেন, ‘সন্ত্রাসবিরোধী যৌথ বাহিনীর অভিযান ও সন্ত্রাসীদের তথ্য সংগ্রহের চলমান অভিযানে নিরাপত্তা বিবেচনায় থানচি, আলীকদম, রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আগামী ৪ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।’
এই নিষেধাজ্ঞার কারণে রোয়াংছড়ি উপজেলার দেবতাকুম, শীলবান্ধা ঝরনা, শিপ্পি পাহাড়, রুমা উপজেলার রহস্যময় বগা লেক, রাইক্ষ্যংপুকুর লেক, ক্যাওক্রাডং, তাজিংডং, জাদীপাই ঝরনা, তিনাপ সাইতার, রিজুক ঝরনা, থানচি উপজেলার নাফাকুম, অমিয়কুম, বড়পাথর, রেমাক্রী, বাদুরগুহা, আন্ধারমানিক, বাকলাই ঝরনা এবং আলীকদম উপজেলার দামতুয়া ঝরনা, ডিম পাহাড়, করুকপাতা ঝরনাসহ চারটি উপজেলার আশপাশের দর্শনীয় স্থানগুলোতে ভ্রমণ করতে পারবে না পর্যটকরা।
এ বিষয়ে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেন, ‘সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান ও তথ্য সংগ্রহের জন্য নিরাপত্তার স্বার্থে রুমা, রোয়াংছড়ি, থানচি ও আলীকদম উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা আগামী ৪ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। পর্যটকদের নিরাপত্তা বিবেচনায় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।’