বান্দরবানে অপহরণের সাত দিন পর মুক্তিপণের বিনিময়ে এক কলেজছাত্রকে মুক্তি দিল সশস্ত্র অপহরণকারীরা। ওই কলেজছাত্রের নাম মো. খোরশেদ (১৮)। তিনি কুহালং ইউনিয়নের বটতলীপাড়ার বাসিন্দা তামাকচাষি মো. মুন্সি মিয়ার ছেলে এবং বান্দরবান কালেক্টর স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র।  আজ বৃহস্পতিবার তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয়রা জানায়, গতবৃহস্পতিবার বান্দরবান সদর উপজেলার কুহালং ইউনিয়নের ডুলুপাড়ার বাগমারাপাড়ায় একটি তামাক চুল্লির ক্ষেত থেকে খোরশেদকে অস্ত্রের মুখে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছিল। মুক্তিপণ বাবদ ১২ লাখ টাকা নিয়ে অপহরণের সাত দিন পর তাঁকে পাহাড়ের অভ্যন্তরীণ সড়কে ছেড়ে দিয়েছে তারা। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েক জন বলেন, ‘অপহৃত কলেজছাত্রের বাবার কাছে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা চাঁদা দাবি করেছিল। কিন্তু চাঁদা না দেওয়ায় তাঁর ছেলেকে অপহরণ করে ১২ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায় করেছে সন্ত্রসীরা। পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠনগুলোকে চাহিদা মতো চাঁদা না দিলেই অপহরণ বা হত্যার শিকার হতে হয়।’

তামাকচাষি মো. মুন্সি মিয়া জানান, অপহরণের পর অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের সঙ্গে বিভিন্নভাবে যোগাযোগ করে ছেলেকে ছাড়াতে সক্ষম হয়েছেন। ছেলে সুস্থভাবে বাড়ি ফিরেছে এতেই তিনি খুশি। 

তবে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুল ইসলাম জানান, অপহৃত কলেজছাত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর ধারণা যৌথ বাহিনীর তৎপরতায় অপহরণকারীরা তাঁকে ছেড়ে দিয়েছে। মুক্তিপণের বিষয়টি তাঁর জানা নেই।