বাবার কোলে গুলিবিদ্ধ শিশুর মৃত্যু : প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় বাবার কোলে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত চার বছরের শিশু তাসপিয়া আক্তার হত্যা মামলার প্রধান আসামি সন্ত্রাসী মো. রিমনকে (২৩) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। রিমন পাঁচটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আসামি।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে র্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়ার পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রিমন তাসপিয়া ও তাঁর বাবাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ার কথা স্বীকার করেছেন রিমন। একই সঙ্গে পরোয়ানার তথ্যও দেন তিনি।
এ সময় রিমনের প্রধান সহযোগী এজাহারনামীয় ৩ নম্বর আসামি মহিন (২৫), ৪ নম্বর আসামি মো. আকবর (২৫), ৫ নম্বর আসামি মো. সুজন (২৮) ও ১০ নম্বর আসামি নাঈম প্রকাশ ওরফে বড় নাঈম (২৩) গ্রেপ্তার হন। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি এলজি, একটি কার্তুজ ও ১১টি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি র্যাবের।
আজ বুধবার র্যাব-১১-এর নোয়াখালী ক্যাম্প কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম বিষয়ক পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
ব্রিফিংকালে র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন জানান, ১৩ এপ্রিল নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের হাজীপুর গ্রামে জমিসংক্রান্ত পূর্ববিরোধের জের ধরে এক হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে। প্রবাসী আবু জাহের ও তাঁর কোলে থাকা শিশুকন্যা তাসপিয়া গুলিবিদ্ধ হন। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা যায় তাসপিয়া।
খন্দকার আল মঈন জানান, শিশু হত্যার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত রিমন অপর চার সহযোগীসহ প্রথমে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় আত্মগোপনের চেষ্টা করেন। কিন্তু রমজান ও ঈদকেন্দ্রিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা বেশি থাকায় তাঁরা মত বদলান। পরে তাঁরা নোয়াখালীর সুবর্ণচরের চর ক্লার্ক এলাকার একটি নির্জন স্থান বেছে নেন।
মঈন আরও জানান, গতকাল মঙ্গলবার রাত নয়টার পর চর ক্লার্কে অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় রিমন ও তাঁর সহযোগীরা র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি ছোড়ে। র্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে। একপর্যায়ে রিমন ও তাঁর সহযোগীরা র্যাবের কাছে অস্ত্র–গুলিসহ আত্মসমর্পণ করেন।
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তার রিমনের বিরুদ্ধে আগের আটটি মামলা ছিল, যার মধ্যে পাঁচটি মামলারই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। এ ছাড়া সেকেন্ড ইন কমান্ড মহিনের বিরুদ্ধে ছয়টি, আকবরের বিরুদ্ধে তিনটি, সুজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা রয়েছে।